আদমদীঘিতে স্ত্রীকে হত্যা করে ৭ মাস পর ধরা খেলেন স্বামী

390

অনলাইন ডেস্ক

বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে ফাইমা বেগম নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে সাত মাস ধরে আত্মগোপনে থাকা স্বামী সাইফুল ইসলামকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত সাইফুল উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের সান্দিড়া ব্যপারীপাড়ার আরমান আলীর ছেলে। গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে আদমদীঘি থানায় আনা হয়। এর আগে সোমবার রাতে ঢাকার নিউ গুলশান এলকায় একটি হোটেল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, টাকার জন্য ঝগড়া ঝাটির একপর্যায়ে গৃহবধূ ফাইমা বেগমের গলায় কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে স্বামী সাইফুল ইসলাম তাকে হত্যার পর কম্বল দিয়ে ঢেকে রেখে ঘরের দরজায় তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। কয়েকদিন পর প্রতিবেশিরা ঘরের দুর্গন্ধ পেয়ে নিহতের বড় বোন রোজিনা বেগমকে বিষয়টি জানায়। তারা তালা ভেঙে ফাইমার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে তার লাশ উদ্ধার করেন। এরপর থেকে সাইফুল আত্মগোপনে থাকে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে ঢাকার গুলশান এলাকার নিউ গুলশান প্লাজায় একটি হোটেল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে আদমদীঘি থানায় হাজির করা হয়।

সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আব্দুল ওয়াদুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত দুই বছর আগে সান্তাহার ইয়ার্ড কলোনীর মৃত আইনাল হকের মেয়ে ফাইমার সাথে সান্দিড়া ব্যপারীপাড়ার আরমান আলীর ছেলে সাইফুল ইসলামের বিয়ে হয়। ফাইমা সাইফুলের ২য় স্ত্রী ও ফাইমারও ২য় স্বামী সাইফুল। বিয়ের বছর যেতে না যেতে তাদের মনোমালিন্যের কারনে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। সাইফুল তাকে দেনমোহর ও ধারের পাওনা টাকা বুঝে দেয়। এরপর তাদের মধ্যে ফের সম্পর্ক স্থাপন হলে আবারো ফাইমাকে বিয়ে করে। সাইফুল ওই টাকা নেয়ার জন্য ফাইমাকে চাপ দেয়। তারপর থেকে দুজনের মধ্যে ঝগড়া ঝাটি লেগেয় থাকে। একপর্যায়ে ফাইমাকে হত্যা করে সাইফুল পালিয়ে যায়। আত্মগোপনে থাকা সাইফুলকে সাত মাস পর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।