শাজাহানপুরে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের গাছ কাটার অভিযোগে ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন

201

শাজাহানপুর(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলায় আমরুল ইউনিয়নের ফুলকোট বামুনদিঘী পাড়া গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রনে সরকারি বাঁধের গাছ চুরি করে কাটার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়া হলেও এখনো ব্যবস্থা নেয়নি থানা পুলিশ। গত ২জুন বুধবার ফজরের আজানের সময় থেকে ওই বাঁধের ৪৩টি ইউক্লিপটাস গাছ কাটেন ওই গ্রামের বজলুর রহমান মন্টু সরকার। এই ঘটনায় পরদিন বৃহস্পতিবার বাঁধের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবু এবং একজন সাধারন সদস্য বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দেন। অভিযোগের তদন্ত দায়িত্ব পান থানার এসআই মিজানুর রহমান।

শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আহমেদ এর নির্দেশে কাটা গাছ গুলো আমরুল ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামানের জিম্বায় দেয়া হয়েছিলো। সেই গাছ গুলো গত সোমবার(১৪জুন) সমঝোতার মাধ্যমে বিক্রি করা হয় বলে অভিযোগ কারি আনোয়ার হোসেন নিশ্চিৎ করেছেন।

বন্যার পানি থেকে আবাদ রক্ষায় বাঁধ নির্মান করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বাঁধ রক্ষার দায়িত্ব দেয়া হয় বিল কেশপাথার কচুয়ার বিল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিঃ। ১৯৯৮সালে বাঁধ নির্মান শুরু হয় এবং ২০০১সালে কাজ সম্পন্ন হয়। এসময় বন বিভাগ সরকারি অর্থায়নে বাঁধে বৃক্ষ রোপন করেন। গাছ গুলো দেখা শুনায় ৪জন উপকার ভোগীকে দায়িত্ব দেন।

অভিযোগকারিদের মধ্যে একজন আনোয়ার হোসেন বলেন, গত ৩জুন বাঁধের গাছ চুরির অভিযোগ করা হয়েছে। এতদিন পেরিয়ে গেলেও অভিযোগের কোন ব্যবস্থা নেননি থানা পুলিশ। সোমবার (১৪জুন) গাছ গুলো আমরুল ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে। শক্ত সিন্ডিকেট এর কারনে কেউ গাছ কিনতে সাহস করছিলো না। গাছ কেনার পার্টিও পাওয়া যাচ্ছিলো না। ৪০হাজার টাকায় গাছ গুলো বিক্রি করা হয়। অভিযোগ মিমাংসার জন্য বিভিন্ন ভাবে তার কাছে খবর আসছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

সামাজিক বন বিভাগ রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আহম্মদ নিয়ামুর রহমান মোবাইল ফোনে জানান, সরকারি বাঁধে বন বিভাগের লাগানো গাছে অবশ্যই বন বিভাগের করণীয় আছে। বিষয়টি তিনি বগুড়া অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।

বগুড়া সামাজিক বন বিভাগ এর ফরেস্টার দুলাল কুমার সাহা বলেন, তারা নথি দেখবেন। বাঁধের গাছ হলে বন বিভাগ থেকে লাগানো হয়েছে। সেখানে উপকার ভোগী বা রক্ষনাবেক্ষন এর দায়িত্বে লোক ছিলো। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের গাছ কাটার বিষয়ে তাদের কাছ থেকে কেউ অনুমতি নেয়নি। বিষয়টি তারা দেখবেন।

উপজেলার আমরুল ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অটলের সাথে একাধিক বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

উপজেলার আমরুল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জাহেদুর রহমান উজ্জল মোবাইল ফোনে জানান, কাটা গাছ গুলো তিনি ইউনিয়ন পরিষদের জিম্বায় নিয়ে এসেছেন। কতগুলো গাছ নিয়ে এসেছেন তা জানেন না। সেই গাছ গুলো গাছের মালিকের কাছে দিয়ে দিয়েছেন বলে প্রথমে জানান। গাছের মালিক বন বিভাগ না পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে দেয়া হয়েছে তা তিনি জানেন না।

পরে জানান গাছ গুলো বিক্রি করা হয়নি। গাছ গুলো ইউনিয়ন পরিষদেই রাখা আছে।

অভিযোগের তদন্ত অফিসার এসআই মিজান মোবাইল ফোনে জানান, বাদী বিবাদী উভয়ের সাথে আলাপ আলোচনাা চলছে।