ধুনটে বিবাহিত কলেজ ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করলো পরিবহন শ্রমিক

653

এম.এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ বিবাহিত কলেজ ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভনে নিজ ঘরে আটক রেখে ধর্ষণ করেছে বিপুল হোসেন (২৭) নামে এক পরিবহন শ্রমিক। ধর্ষণের সময় মেয়েটির চিৎকারে এলাকাবাসী বিপুল হোসেনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বিপুলের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

১৬-ই জুন (বুধবার) দুপুরের পর ধুনট থানা থেকে পরিবহন শ্রমিক বিপুল হোসেনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একই সাথে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিপুল হোসেন ধুনট উপজেলার কালের পাড়া ইউনিয়নের আড়কাটিয়া গুচ্ছ গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, শেরপুর উপজেলার খামারকান্দি এলাকার এক কৃষকের বিবাহিত মেয়ে শেরপুর বিএম টেকনিক্যাল কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। মেয়েটির প্রায় দেড় বছর আগে ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ী এলাকার এক পোশাক কারখানার শ্রমিকের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামীর সাথে ঢাকায় অবস্থান করতো মেয়েটি। এ অবস্থায় গত ১০-ই জুন মেয়েটি ঢাকা থেকে বগুড়ায় তাহার বাবার বাড়ির উদ্দেশে আনু পরিবহনে রওনা হয়। ওই গাড়ির চালকের হেলপার বিপুল হোসেনের সঙ্গে গাড়ির ভেতরে বিবাহিত কলেজ ছাত্রী পরিচয় হয়।

এক পর্যায়ে বিভিন্ন কৌশলে মেয়েটিকে ছোট বোনের পরিচয় দিয়ে তাহার কাছ থেকে মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করে গাড়ির হেলপার বিপুল। পরবর্তিতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছোট বোন থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাদের। বিয়ের প্রলোভনে গত ১৫-ই জুন বুধবার কলেজছাত্রীকে কৌশলে বাবার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন গাড়ির হেলপার বিপুল। এরপর বিপুল নিজের ঘরের ভেতর হত্যার হুমকি দিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার ও বিপুলকে আটকের পর থানায় সোপর্দ করেছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধুনট থানার এসআই আব্দুস ছালাম জানান , প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতার প্রমাণ মিলেছে। ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে ২২ ধারায় জবানবন্ধী রেকর্ডের জন্য বগুড়া আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষার করানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।