বগুড়ার ধুনটে পুকুরের মাছ চুরির অভিযোগ

395

এম.এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টার,
বগুড়ার ধুনট উপজেলার আড়কাটিয়া গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে পুকুর থেকে মাছ চুরি করে অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রায় মৎস চাষীর ২ লক্ষ টাকা ক্ষতি সাধন হয়েছে। এ ঘটনায় পুকুরের মালিক হায়দার আলী বাদী হয়ে (১৭ জুন) বৃহস্পতিবার ওই গ্রামের মিনু প্রাং সহ ৮ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আড়কাটিয়া গ্রামের মৃত. জাকের আলী সরকারের ছেলে হায়দার আলী তার পৈত্রিক সম্পত্তির ১ একর ২১ শতক পুকুর একই গ্রামের ফরিদুল ইসলাম সোনা কে অর্থের বিনিময়ে ৫ বছর পূর্বে লীজ দেয়। উক্ত লীজ কৃত পুকুরে ফরিদুল ইসলাম দীর্ষদিন যাবত বিভিন্ন জাতের মাছ চাষ করে জিবিকা নির্বাহ করে আসছে। এমতাবস্থায় গত ১০ জুন রাতে বিবাদীরা জমি জমা ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উক্ত পুকুর থেকে চাষকৃত মাছ চুরি করে মেরে নিয়ে যায়। পরের দিন সকালে আমি ও লীজ নেওয়া সোনা মিয়া তাদের মাছ চুরির বিষয়টি জানতে পেরে বিবাদীতে বাড়িতে গিয়ে তাদের মাছ চুরি করে মেরে নেয়ার কথা জিজ্ঞেস করলে তারা অশ্লীন ভাষায় আমাদের কে গালমন্দ করে বলে `মাছ আমরা মেরে নিয়েছি, কি বাল তুলতে পারিস তুলিস’। এর পরে তারা আমাদের মারপিট করার জন্য আক্রমণ করলে তখন আমরা ঘটনাস্থল থেকে চলে আসি। তখন বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুকুরের উত্তর পূর্বের বাঁধ ভেঙ্গে দিয়ে চাষকৃত অবশিষ্ট মাছ বের করে দেয়। এতে ২ দফায় ২ লক্ষ টাকার মাছ ক্ষতি সাধন হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য মাধ্যমে তাদের কে অবগত করলে তারা কর্ণপাত না করে ক্ষিপ্ত হতে থাকে। এমতাবস্থায় ১২ জুন সকালে সোনা মিয়া ভেঙ্গে দেওয়া পুকুরের বাঁধ মেরামত করতে গেলে বিবাদীরা দৌড়ে এসে সোনা মিয়াকে বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে তারা কিল ঘুষি মেরে সোনা মিয়াকে মাটিতে ফেলে দেয় ও তার পকেটে থাকা নগদ ৮ হাজার ৯শ টাকা বের করে নেয়। পরে স্থানীয়রা সোনা মিয়াকে উদ্ধার করে স্থানীয় ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়।

ধুনট থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।