গাবতলীতে অগ্নিকান্ডের খবর দিয়ে ফায়ার সার্ভিসকে হয়রানী

244

মুহাম্মাদ আবু মুসা

বগুড়ার গাবতলীতে গভীর রাতে অগ্নিকান্ডের ভূয়া খবর দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদেরকে চরম হয়রানী করা হয়েছে। একই সাথে হয়রানীর শিকার হয়েছে বাগবাড়ী ফাঁড়ির পুলিশ সদস্য ও জনপ্রতিনিধিরা। এমন ঘটনা ঘটেছে গত ২৬জুন/২১ উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের গোলাবাড়ী রানিরপাড়া গ্রামে। হয়রানী করা চক্রদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তÍুতি নিয়েছেন গাবতলী ফায়ার ষ্টেশনের কর্মকর্তারা। জানা গেছে, ২৬জুন/২১ রাত ২টা ৩০মিনিটে ০১৭৪৫-০৪৫৩০৯সহ আরো ২টি নাম্বার থেকে গাবতলী ফায়ার ষ্টেশনে ফোন করা হয় উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের গোলাবাড়ী রানিরপাড়া গ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ খবর পাওয়ার সাথে সাথে ফায়ার ষ্টেশন অফিসার সবুজ হোসেন এর নেতৃত্বে ৭জন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী পানিসহ গাড়ী নিয়ে দ্রুত গোলাবাড়ী রানিরপাড়া গ্রামে যান। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক উপজেলার বাগবাড়ী ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরাও ছুটে যান। এ ছাড়া স্থানীয় ইউপি মেম্বারসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের সাথেও যোগাযোগ রক্ষা করা হয়। কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় অগ্নিকান্ডের কোন ঘটনাই নেই। আবার যে নাম্বার গুলো থেকে ফোন করা হয়ে ছিল সেই মোবাইল ফোন নাম্বার গুলোও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ও ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা ওই রাতে হয়রানীর শিকার হয়ে ফিরে যান। এ ব্যাপারে গাবতলী ফায়ার ষ্টেশন কর্মকর্তা সবুজ হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি উপরোক্ত তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত ২২জুন/২১ বিকেলে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে বলেছিল উপজেলার কালাইহাটা গ্রামের রফিকুল ইসলামের বাড়ীতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর প্রেক্ষিতে বিকেল ৩টা ২৮মিনিটে ৯৯৯ নাম্বার থেকে বলা হলে আমিসহ ৬জন সেখানে দ্রুত গিয়ে কোন অগ্নিকান্ড দেখতে পাইনি। এ ভাবে মাঝে মধ্যে ভূয়া খবর আসে এবং পরে তারা মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখে। তিনি (সবুজ) আরো বলেন, এ ভাবে হয়রানী করার ঘটনায় থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে এবং হয়রানী করা চক্রদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাগবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আব্দুল খালেক জানান, অগ্নিকান্ডের ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে এএসআই নজিবুলসহ কয়েকজন পুলিশকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পরে জানা যায় অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি সঠিক নয়। এ বিষয়ে জাতীয় জরুরী সেবা (৯৯৯) এর পুলিশ পরিদর্শক (মিডিয়া) আনোয়ার সাত্তার এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, ভূল তথ্য দিলে তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি আরো বলেন, ভূল তথ্য দেয়া সংক্রান্ত আইনও পাস করা হয়েছে। স্থানীয় ইউপি মেম্বার সুলতান মাহমুদ বলেন, হয়রানী করা চক্রটি ফায়ার সার্ভিসের কর্মী, পুলিশ সদস্য ছাড়াও জনপ্রতিনিধি এবং এলাকাবাসিকে হয়রানী করেছে। তাই ওই চক্রদের খুঁজে বের করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী করছি।