ধুনটে লকডাউনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ভাঙচুর : আহত ৫

510

এম.এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টার,
বগুড়ার ধুনটে লকডাউনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের আহত হয়েছেন ৫জুন। (১ জুলাই) বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার সোনাহাটা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, করোনা সংক্রমণরোধে বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় ধুনট সোনাহাটা বাজারে লকডাউন চলতে থাকে। এসময় জিনিয়াস মর্ডান মাদরাসা নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে পাঠদান কার্যক্রম চালানো হয়। এতে আশিকুর রহমান মানিক নামে এক ব্যবসায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার প্রতিবাদ করেন।

বিষয়টি নিয়ে তখন মাদরাসা পরিচালনাকারী মহসীন আলম ও গোলাম মোস্তফার সঙ্গে আশিকুর রহমান মানিকের কথাকাটাকাটি হয় । একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টিপাল্টি ধাওয়া, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে সোনাহাটা বাজারের মন্ডল স্টোরের মালিক আশিকুর রহমান (৩৫), মহসীন আলম (৪২) ও গোলাম মোস্তফাসহ ৫ জন আহত হন। হামলাকারীরা মন্ডল স্টোর নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি ভাঙচুর করেছে।

আহতরা ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ ধুনট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ।

আশিকুর রহমান মানিক বলেন, লকডাউন অমান্য করে মাদরাসা খোলা রেখে সেখানে পাঠাদান করানো হয়। আমি প্রতিবাদ করায় মাদরাসা পরিচালনাকারীরা আমাকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেন এবং আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেন।

এ অভিযোগ অস্বীকার করে মহসীন আলম বলেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে ব্যবসায়ী আশিকুর রহমান মানিক ও তার লোকজন আমাকে মারধর করেছে।

ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।