শাজাহানপুরে ভূমিহীনদের জলাবদ্ধ ঘর পরিদর্শনে বিভাগীয় কমিশনার ড. হুমায়ন কবির

319

দুলাল হোসেন,শাজাহানপুর বগুড়াঃ বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীনদের প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেয়া ঘরের অনিয়ম ও দুনীতি অনুসন্ধানে আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. হুমায়ুন কবীর।

শাজাহানপুর উপজেলা আড়িয়া ইউনিয়নে নিচু জলাবদ্ধ জমিতে ঘর নির্মাণ করায় অল্প বৃষ্টি হলেই ভোগান্তিতে পড়েন ৯ টি পরিবার।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে শাজাহানপুরের আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শন শেষে জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহনের আশস্ত করেন বিভাগীয় কমিশনার। এ সময় তিনি বলেন, এ জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় মানুষের দূভোর্গ কমাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডে সহযোগিতায় জিও ব্যাগে বালি ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ ও জায়গাটা উঁচু করতে একটি প্রকল্প কাজ চলমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. জিয়াউল হক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রভাষক সোহরাব হোসেন ছান্নু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উজ্জ্বল কুমার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আহমেদ, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, সহকারী কমিশনার ভূমি আশিক খান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা প্রকৌশলী ইসমাইল হোসেন, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার, উপ সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান, আড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মন্টু প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রীর উপহারে হতদরিদ্রদের মাথা গোঁজার ব্যবস্থা করে দিলেও তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাজাহানপুরে নিচু জমিতে ঘর নির্মাণ করায় হালকা বৃষ্টিতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন সুবিধাভোগীরা।
আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা হজুর আলী সহ অসহায় ৫ টি বিধবা মহিলা, নিচু ও জলাবদ্ধতা জমিতে ঘর তৈরির বিষয়টি স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করে। দূর্ভোগের চিত্র মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে দেশ ব্যাপী আলোচনা সমালোচনা ঝড় ওঠে।
উল্লেখ্য, উপজেলা আড়িয়া ইউনিয়নে মানিকদিপা পলিপাড়ায় পাশে খাসজমিতে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কাবিটা প্রকল্পের অর্থায়নে মুজিব বর্ষে উপলক্ষে ১৫ লাখ ৩৯ হাজার টাকা ব্যয়ে গৃহহীন ৯টি পরিবারের জন্য দুই ঘরবিশিষ্ট এ সব ঘর তৈরি করা হয়। শাজাহানপুরের তৎকালীন ইউএনও মাহমুদা পারভীন ও উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আব্দুল জাব্বার মাধ্যমে দ্বাযিত্ব অবহেলা করে নিচু ও জলাবদ্ধ জমিতে এসব গৃহ নির্মাণে সময় নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
তবে প্রতিবাদ হলেও ইউএনও তার ক্ষমতাবলে তুলনামূলক নিচু জায়গাতেই ঘর নির্মাণ করে যান।