পলাশবাড়ীতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে নিরলস ভাবে কাজ করছেন ইউএনও

153

শাহারুল ইসলাম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

মহামারি করোনায় নিজের নিরাপত্তা কথা না ভেবে দিনরাত জনগণের সেবায় ব্যস্ত সময় পার করছেন করোনার যোদ্ধা গাইবান্ধা পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান।

সরকার কর্তৃক লকডাউন ঘোষণা দেয়ার পর থেকে জনগণের নিরাপত্তা ও করোনার প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষার জন্য দিন-রাত উপজেলার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত ছুটে চলছেন প্রতিনিয়ত এ মানবিক কর্মকর্তা। শুধু এই ভেবে করোনাভাইরাসের মরণ থাবা থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে হবে। সাহস নিয়ে মানুষের পাশে থেকে লড়াই করে যাচ্ছেন তিনি। লকডাউনের সময় দরিদ্র অসহায় গরিবদের পাশেও বারবার সরকারি ত্রাণ এবং কখনও কখনও নিজ অর্থ থেকেও খাবার নিয়ে দরিদ্র মানুষের পাশে আছেন সার্বক্ষণিক।

উপজেলার মাঠ প্রাঙ্গণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ভাসমান বেদে সম্প্রদায়ের কর্মহীন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন। শুধু এটা নয় গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সাথে নিয়ে তিনি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন হাটবাজার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অভিযানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে “সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন ২০১৮ মোতাবেক ১২৫টি মামলায় মোট ৯৬ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেছেন।
এছাড়াও তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য নিয়ন্ত্রণ, খাদ্য ভেজাল মুক্ত করা, জনগণকে সচেতনতা বৃদ্ধি করাসহ প্রতিনিয়ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে যাচ্ছেন। তিনি অফিসে বসে না থেকে ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সরকারের দেওয়া বিভিন্ন নীতিমালা বাস্তবায়নে মার্কেটে মার্কেটে ঘুরে হ্যান্ড মাইকে মানুষকে সচেতন করতে দেখা যায়। এসময় তিনি বলেন, পলাশবাড়ীবাসীকে স্বজনহারা লাশের মিছিল দেখতে চাননা। তাই প্রতিজনকে ভাইরাস প্রতিরোধের নিয়ম গুলো মেনে চলার পরামর্শ দেন।

এ ছাড়াও উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়ন পরিষদে অসহায় মানুষের জন্য সরকারী বরাদ্দকৃত প্রধানমন্ত্রীর উপহার নগদ টাকাসহ ভিজিএফ, ভিজিডি, জিআরের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম সর্বক্ষনিক তদারকি করছেন ইউএনও কামরুজ্জামান।