সোনাতলায় লকডাউনের কারনে কামারদের নেই কোন হাতুড়ি পেটানোর শব্দ

460

নুরে আলম সিদ্দিকী সবুজ স্টাফ রিপোর্টারঃ পবিত্র ঈদুল আজহা আসতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। তবে কোরবানিকে ঘিরে সোনাতলা কামার বাড়িতে নেই কোনো ধরনের কর্মব্যস্ততা। ক্রেতা পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে কামারদের কপালে।

ঈদুল আজহাকে ঘিরে সোনাতলায় কামারদের হাতিয়ার বানানোর আয়োজন শুরু হয় ঈদের একমাস আগে থেকেই। আর কেনাবেচা চলে ঈদের চাঁদ রাত পর্যন্ত। এ সময় কামারশালার পাশ দিয়ে গেলেই শোনা যায় লোহা পেটানোর শব্দ। দেখা যায় লোহাকে আগুনে লাল করে আর তাতে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে কুরবানির পশু জবাইয়ের হাতিয়ার বানাতে।

কিন্তু ভয়াবহ করোনাভাইরাস মোকাবিলায় লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় এবারের চিত্রটা একটু ভিন্ন। কুরবানির ঈদ আসতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি রয়েছে। তবে এ বছর কামারদের ব্যস্ততা নেই। নেই গরম লোহা পেটানোর শব্দ, নেই হাপরের বাতাসের শব্দ। কামারশালাগুলোতে কাজের ব্যস্ততা তেমন একটা নেই। কামারশালার সামন ডালিতে করে সাজানো থাকত ছুরি, দা, বঁটি, চাপাতিসহ নানাবিধ ধাতব হাতিয়ার। সেখানে দেখা গেছে হাতেগোনা কয়েকটি বঁটি আর দা। আর দেখা যায় কুড়াল, ছেনি,কাস্তে আর সুপারি কাটার সরতা। পশু জবাইয়ের জন্য দা, চাপাতি রয়েছে হাতেগোনা ৬ থেকে ৭টি। পশুর চামড়া আলাদা করার ছোট ছুরি নেই বললেই চলে।

কামার পংকজ বগুড়া এক্সপ্রেসকে জানায়, কোরবানিকে ঘিরে আমাদের ব্যবসা শুরু হয় একমাস আগেই। এ সময় দেখা যায় প্রতিদিনই বিক্রি হয় দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। তারপরে আস্তে আস্তে বিক্রি বাড়ে। দিনে প্রায় সর্বোচ্চ পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। যা চলে ঈদের আগের চাঁদ রাত পর্যন্ত। এ বছর ঈদের তো আর কয়েক দিন বাকি। এখনো কাজ শুরু করার কোরবানি দেবে কি না! লকডাউনের কারণে মানুষ ঘর থেকে বাহির হচ্ছে না।

আবেদ আলী নামে এক ক্রেতা বলেন, কোরবানির আগে এই দোকানগুলোতে (কামারশালা) যে ভিড় থাকে, সেই তুলনায় এবার ভিড় নেই বললেই চলে। আর তাছাড়া দামও খুব চড়া প্রতিটা জিনিসেরই। কাজের তেমন একটা তৎপরতা নেই। দাম বেশি আর তারা যেহেতু হাতিয়ার সেভাবে বানাচ্ছে না, তাই একটা লোহা কিনে এনে অর্ডার দিয়ে বানিয়ে নিলাম।