শিবগঞ্জে খাল খননে সাড়ে ৬’শ একর ফসলী জমি জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা

244

রশিদুর রহমান রানা,শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ঘুগারবিল সংলগ্ন কিচক ইউনিয়নের মাটিয়ানে বিস্তৃর্ণ এলাকার প্রায় সাড়ে ৬‘শ একর তিন ফসলী জমি অতিবৃষ্টি এবং পানি নিষ্কাশনের বাঁধার কারণে দীর্ঘদিন থেকে জলাবদ্ধতার ফসল নষ্ট হয়ে আসছিলো।

চলতি বর্ষা মৌসুমে এই জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষার জন্য এলাকার শত শত কৃষক-কৃষাণীর দাবীর প্রেক্ষিতে স্থানীয় কিচক ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম নাজমুল কাদির শাহজাহান চৌধুরী দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ সরু সরকারি খাস খালটি খননের কাজ শুরু করেন।

গত দু‘দিন যাবৎ শতাধিক শ্রমিক সরু ওই খালটির খনন কাজ শুরু করছেন। খনন শ্রমিকদের ভাষ্য মতে, ৫দিনের মধ্যেই খনন কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।

মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে মাটিয়ানের ঐ খালের পাড়ে গেলে কৃষকরা তাদের পূর্বের দুঃখ দুর্দশার কথা জানান। মাটিয়ান গ্রামের কৃষক আফছার আলী, সাইদুর রহমান, আলম মিয়াসহ অনেক কৃষক বলেন, এই এলাকার বিস্তৃর্ণ ফসলী মাঠ দীর্ঘদিন যাবৎ জলাবদ্ধতার কারনে আমরা সময় মতো জমি চাষাবাদ করতে পারিনা। যে কারনে আমাদের পরিবার নিয়ে অতি কষ্টে জীবনযাপন করতে হয়।

আমাদের দাবীর প্রেক্ষিতে কিচক ইউপি চেয়ারম্যান প্রায় দেড় কিলোমিটার সরু সরকারি খাস খালটি খনন করছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু বক্কর জানান, প্রায় সাড়ে ৬‘শ একর তিন ফসলী জমির জলাবদ্ধতার কবল থেকে রক্ষার জন্য কৃষকদের সাথে নিয়ে চেয়ারম্যান সাহেবের নিকট দাবী করি খননের ব্যবস্থার জন্য।

এ ব্যাপারে কিচক ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম নাজমুল কাদির শাহজাহান চৌধুরি বলেন, আমার ইউনিয়নের মাটিয়ানে প্রায় সাড়ে ৬‘শ একর তিন ফসলী জমি অতিবৃষ্টি এবং পানি নিষ্কাশনের অভাবে জলাবদ্ধতার সমস্যার কথা শুনে জরুরি ভিত্তিতে খাল খনন কাজ শুরু করি। আমি এ বর্ষা মৌসুমের আগেই সরকারি বরাদ্দে খালটি খননের আশ্বাস দিয়েছিলাম।

শিবগঞ্জ উপজেলা নিবাহী অফিসার উম্মে কুলছুম সম্পা জানান, ঐ এলাকার ফসলী জমির জলাবদ্ধতার বিষয় আমাকে কেউ জানায়নি। সরেজমিনে প‌রির্দশ পূর্বক প্রয়োজনীয় সহযোগীতা ও ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।