বেদনার পরাকাষ্ঠা থেকে সৃষ্টির উল্লাসের নামই আওয়ামী লীগ

445

অনলাইন ডেস্ক

আজ বঙ্গবন্ধুকন্যার কারাবন্দী দিবস। ২০০৭ সালের তৎকালীন সেনা সমর্থিত সরকার বাংলার হৃৎপিণ্ডখ্যাত, বঙ্গবন্ধু তনয়া, সফল রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনাকে কারাবন্দী করে। অসংখ্য মিথ্যা মামলা দিয়ে ক্যাঙ্গারো কোর্টের মাধ্যমে তাকে সারা জীবনের জন্য জেলে বন্দী রাখার সব আয়োজন সম্পন্ন করলেও গণমানুষের গণরোষ থেকে বাঁচতে পিছু হটতে বাধ্য হয় ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনের সরকার। তারপর বিএনপির তৈরি এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার সম্বলিত তালিকা বাদ দিয়ে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে দ্বায়িত্বভার অর্পণ করতে বাধ্য হয়। জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাগ্রহণ করার অল্প দিনের মধ্যে ষড়যন্ত্রকারী দল বিএনপি বিডিআর বিদ্রোহ ঘটিয়ে সরকার পতনের চেষ্টা করে। জননেত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে প্রায় গৃহযুদ্ধ থেকে বাঁচান প্রিয় মাতৃভূমিকে। শুরু হয় শেখ হাসিনার উন্নয়নের ক্যারিশমাটিক লিডারশীপ আর বিএনপি-জামাতের চতূর্মুখী ষড়যন্ত্র। দুষ্ট বুড়ি যেমন নবীজির চলার পথে প্রতিটা পরতে পরতে কাঁটা বিছিয়ে রাখতেন ঠিক তেমনই বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির চলার পথে ষড়যন্ত্রের জাল পেতে রাখেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া।

যার গায়ে বঙ্গবন্ধুর রক্ত তাকে কি দমিয়ে রাখতে পারে কোন ষড়যন্ত্র? জননেত্রী শেখ হাসিনা একাগ্রচিত্তে অদম্য গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশকে। আন্তর্জাতিক বিশ্বের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা যখন মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে উঠছে ঠিক তখনই শুরু হলো আরক ষড়যন্ত্র। মসৃণ গণতন্ত্রকে প্রতিহতের ডাক দিয়ে অবরোধের নামে জ্বালাও পোড়াও শুরু করে বিএনপি-জামাত। মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার কী বিভিৎস নগ্নতা! কী বর্বর পৈশাচিকতা! কতটা বেদনা বিধুর ধ্বংসলীলা! বাবার সামনে সন্তানকে পুড়িয়ে মারার হিংস্রতা কতটা হৃদয় বিদারক, কতটা মর্মস্পর্শী সেদিন বিএনপি নেত্রী বুঝতে পারেননি তবে যেদিন নিজের সন্তান হারিয়েছেন সেদিন বুঝেছেন প্রিয়জন হারানোর যাতনা কতটা বেদনাদায়ক, কষ্টদায়ক। সেই সন্তানহারা মা’কে দেশের প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন সমবেদনা জানাতে। কিন্তু প্রতিহিংসা পরায়ণ বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বাংলার জনগণের প্রতিনিধির জন্য সমবেদনার কপাট চিরতরে বন্ধ করে দিলেন। জাতির সামনে সেই অপমানের যন্ত্রণা নিয়ে অত্যন্ত ব্যথিত ও ভগ্ন হৃদয়ে ফিরোজা ভবনের সামনে থেকে ফিরে আসলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

এতোকিছুর পরও দমে যাননি সারা বাংলার প্রাণের স্পন্দন, হৃদয়ের আবেগ, ভালবাসার ঠিকানা জননেত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় বাংলাদেশ বিমুখ সকল বিনিয়োগকারীকে ফিরিয়ে আনলেন। বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশের জন্য জঙ্গিবাদ, আগুন সন্ত্রাস, দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশকে শান্তির ভূসর্গ বানানোর প্রতিশ্রুতি দিলেন বিশ্ববাসীর কাছে। বিশ্ববাসী শেখ হাসিনার কথায় আস্থা রাখলেন, আবার শুরু হলো বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে উন্নয়ন কার্যক্রম। শুরু হলো এরাবিয়ান হর্সের মতো বাংলার এগিয়ে যাওয়ার পথচলা। যে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে মশকরা করতো বিশ্ব মোড়লরা তাদের প্রতিনিধি এসে শেখ হাসিনার মন্ত্রীদের সাথে সাক্ষাতের জন্য অপেক্ষা করে ঘন্টার পর ঘন্টা। আর বলে বেড়ায়- “যদি কোন দেশ দ্রুত উন্নয়নের শিখরে পৌঁছতে চায় তারা যেন বাংলাদেশকে ফলো করে।” রামসাম, যদুমধু সবাই আজ বাংলাদেশ প্রশ্নে এক ঘাটে পানি খায়। কী প্রাচ্য,কী পাশ্চাত্য, সবাই বলে বাংলাদেশ তুমি আমার দলে আসো। টানবেই না কেন! বাংলাদেশ যে আজ ঢেরবেশি ঋণদেয়। আগামীতে বিশ্বের বিপদগ্রস্ত দেশগুলোর আশা-ভরসার একমাত্র কান্ডারী হতে চলেছে বাংলাদেশ।

এই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ, এই বাংলাদেশ শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ, এই বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের টেকসই উন্নয়নের বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশ স্বপ্নচারী জনগণের অকৃত্রিম ভালবাসার বাংলাদেশ। আমার বাংলাদেশ, প্রাণের বাংলাদেশ, উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশ।

লেখকঃ
এডভোকেট দেওয়ান মারুফ সিদ্দিকী
রাজনীতিক ও আইনজীবী