নামুজায় সমিতির আমানতের ৬ কোটি টাকা নয়-ছয়! গ্রাহকদের চাপে কর্তৃপক্ষের আত্মগোপন!

339

ইমরানুল হকঃ বগুড়া সদর উপজেলার নামুজা চৌমুহনী বাজার মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ সমিতির গ্রাহকদের আমানতের ৬ কোটি টাকা নয়-ছয়! টাকা ফেরৎ না দিয়ে অফিসে তালা। গ্রাহকদের চাপে কর্তৃপক্ষের আত্মগোপন করার খবর পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, নামুজা বগার পাড়া গ্রামের আবুল কালাম, কারিগড় পাড়ার আব্দুল আলিম শেখ, শাহাপাড়া গ্রামের আজিজুল ওরফে এলেম ও ভান্ডারী পাড়া গ্রামের আব্দুল গফুর কর্তৃক পরিচালিত নামুজা চৌমুহনী বাজার মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড সমিতির নামে প্রায় ২ শতাধিক গ্রাহকদের নিকট থেকে ৬ কোটি টাকা আমানত গ্রহন করে। সমিতির পরিচালনা কমিটির কর্তৃপক্ষ উপরে উলে­খিত ৪ জন ব্যক্তি গ্রাহকের আমানতের ৬ কোটি টাকার বেশির ভাগই ভাগ বাটোয়ারা করে নেয়। আমানতকারীর সময়সীমা অতিক্রম হওয়ার পরেও গ্রাহকদের টাকা যথা সময়ে ফেরত না দিয়ে কর্তৃপক্ষ তাল বাহনা করতে থাকে। এছাড়াও আমানতকারীদের মাসিক লাভের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। যার ফলে, প্রতিদিন অসংখ্য গ্রাহক তাদের জমাকৃত টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য সমিতির অফিসে ধরনা দিচ্ছে। গ্রাহকেরা টাকা ফেরৎ না পেয়ে কয়েক দফায় সমিতির অফিসে তালা লাগিয়ে অনশন করতে থাকে। এসময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এসএম রাসেল মামুন ও বগুড়া সদর থানা পুলিশের এসঅই ইমতিয়াস এর প্রতিশ্রুতিতে অফিসের তালা খুলে দেওয়া হয়। এর এক পর্যায়ে গ্রাহকেরা টাকা ফেরৎ পাওয়ার জন্য দলবদ্ধ হয়ে সমিতি পরিচালনা কমিটির সদস্যদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। গ্রাহকদের উত্তেজনা দেখে সমিতির কর্তৃপক্ষ অফিসে তালা লাগিয়ে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করে। উক্ত ঘটনায় বগার পাড়া গ্রামের জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে উপরে উল্লেখিত ৪ জনের বিরুদ্ধে গত ১২/০৫/২০২১ তারিখে বগুড়া সদর থানায় একটি জিডি করেন, জিডি নং-৩৩৪। সমিতির আমানতের টাকা লুটপাট করার বিষয়ে বগুড়া সদর উপজেলা সমবায় অফিসের নিরব ভূমিকা নিয়ে সচেতন মহলে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এসব সমবায় সমিতিতে সঞ্চয়ী ও আমানত গ্রাহকরা উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সবমিলিয়ে সরকারি সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন মহল।