বগুড়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

428

অনলাইন ডেস্ক

বগুড়ায় মমিনুল ইসলাম রকি (৩৩) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়া শহরতলীর ফাঁপোড় ইউনিয়নের ফাঁপোড় হাটখোলায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। নিহত মমিনুল ফাঁপোড় মন্ডলপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র ও সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সল মাহমুদ।

জানা গেছে, মমিনুল ফাঁপোড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। এছাড়াও তিনি আসন্ন ইউপি নির্বাচনে ফাঁপোড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী, তিনি এলাকায় বসবাস করতেন না শহরের উপশহর এলাকায় থাকতেন। তবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে তিনি প্রায়ই এলাকায় বিভিন্ন কর্মসুচিতে অংশ গ্রহণ করতেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি ফাঁপোড় হাটখোলা মাঠে লোকজনের সাথে গল্প করছিলেন। এসময় একদল দুর্বৃত্ত তাকে ঘিরে ফেলে। তার সহযোগীরা এসময় পালিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ফেলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১০টায় তিনি মারা যান তিনি।

রকি হত্যার বিষয়ে তাৎক্ষণিক সুনির্দিষ্ট কোন কারণ জানা যায়নি। তবে ফাঁপোড় উচ্চ বিদ্যালয়ের সভপতি পদ নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল হক ঠান্ডুর সাথে রকির বিরোধ ছিল। রেজাউল হক ঠান্ডু শিক্ষকতার পাশাপাশি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি। তিনি নিজেও এবার ফাঁপোড় ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। রকি ইতিপূর্বে ফাঁপোড় উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ছিলেন। সেই সময় থেকেই প্রধান শিক্ষকের সাথে তার বিরোধ শুরু হয়। কমিটি মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে প্রধান শিক্ষক রকির নাম বাদ দিয়ে নতুন কমিটি প্রস্তাব শিক্ষা বোর্ডে পাঠিয়েছিলেন। রকির অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেই কমিটি অনুমোদন পায়নি।

এছাড়াও রকির বিরুদ্ধেও হত্যাসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর পরই এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। পুলিশের একাধিক টিম জড়িতদের শনাক্ত করতে মাঠে নেমেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।