শাজাহানপুরে ৫শত টাকার প্রলোভনে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ চেস্টাঃ চাপা দিতে বিনিয়োগ ২৫ হাজার

381

শাজাহানপুর(বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক কিশোরী(১৩)’কে ৫শত টাকার প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ চেস্টার অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার(২৬জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার গোহাইল ইউনিয়নের রুপিহার মধ্যপাড়া(স্কুলপাড়া) গ্রামে বাড়ির পাশেই পুকুর পাড়ে এই ঘটনা ঘটে। গোসল করে পুকুরে কাপড় ধুতে আসলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা প্রতিবেশি মৃত হাসেম আলীর ছেলে পান ব্যাবসায়ী জিন্নাল হোসেন(৪৫) এই ঘটনা ঘটায় বলে ওই কিশোরী জানায়। স্থানীয় একজন পথচারী সেটি দেখে ফেলায় রক্ষা পায় ওই মেয়েটি।

বিষয়টি অস্বীকার করেছেন জিন্নাল। ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় একটি মহল। গোহাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানিয়ে ২৫হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি মিমাংসার চেস্টার কথা জানালেন গ্রাম্য মাতব্বর খলিলুর রহমান। এই ঘটনার উপযুক্ত বিচার দাবি করেছেন নির্যাতনের শিকার ওই পরিবারের সদস্যরা সহ গ্রামবাসি। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মঙ্গলবার (২৭জুলাই) বিকেল সারে ৩টা পর্যন্ত থানায় অভিযোগ হয়নি।

সরেজমিনে নির্যাতিত ওই মেয়ে, তার, মা এবং নানী জানান, সোমবার বিকেলে টিপটিপ বৃস্টি হচ্ছিলো। মেয়েটি গোসল করে ভেজা কাপড় নিয়ে বাড়ির পাশে পুকুরে ধুতে গিয়েছিলো। এসময় সেখানে আগে থেকেই ওৎ পেতে ছিলো জিন্নাল। এসময় মেয়েটিকে ৫শত টাকার একটি নোট দেখিয়ে প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ এর চেস্টা করে।

একই সময় সেখান দিয়ে স্যালো মেশিন দিয়ে বানানো ভূটভূটি চালক সাহেব আলী ঘটনাটা দেখে ফেলেন। এসময় জিন্নাল চলে যায় এবং মেয়েটি তার সাথে ঘটনা ঘটনা খুলে বলে।

তারা গরীব মানুষ। মেয়েটা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। গায়ের রং ফর্সা হওয়ায় গ্রামের খারাপ কিছু লোকের নজর সব সময় লেগেই থাকে বলে দুঃখ প্রকাশ করেন তারা। এই ঘটনার বিচার দাবি করেছেন তারা।

সাহেব আলী বলেন, ভূটভূটি বাড়িতে রেখে আসার সময় ঘটনাটা দেখতে পান। দেখার সাথে সাথে জিন্নাল চলে যায়। মেয়েটার কাছ থেকে ধর্ষন চেস্টার ঘটনা শুনে বিস্মিত হন। এই ঘটনার দৃস্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেছেন তিনি।

জিন্নাল জানান, এই ঘটনা মিথ্যা। ওই মেয়ে খারাপ। এটাকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছে।

গ্রাম্য মাতব্বর খলিলুর রহমান মোবাইল, গ্রামের ঘটনা বাহিরে গেলে মেয়েটারা সন্মান নস্ট হবে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা করেছেন। তার সম্মতিতে ওই মেয়েকে জিন্নালের পক্ষ থেকে ২৫হাজার টাকা দিয়ে মিমাংসা করা হচ্ছে। টাকা তার নিজের এখনো গচ্ছিত আছে। মেয়েটির হাতে এখনো দেয়া হয়নি। ধর্ষণ বা ধর্ষণ চেস্টার ঘটনা স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করার বিধান আছে বা নেই এটা তিনি জানেন না।

এ ব্যপারে কথা বলতে গোহাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আতোয়ার তালুকদার ফজু জানান, মঙ্গলবার(২৭জুলাই) তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। এ ব্যপারে থানা পুলিশ, আইন আছে। বিষয়টা তারা দেখবেন।