চলনবিলে পাটের দরপতন, প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র চাষিরা বিপাকে

380

এ এইচ খোকন চলনবিল প্রতিনিধিঃ চলনবিল অধ্যুষিত ৯টি উপজেলায় চলতি মৌসুমের শুরুতে প্রতি মণ পাটের দাম ছিল ২৫০০ – ৩০০০ টাকা।
গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি মণ পাটের দাম ১৫০০ – ১৮০০ টাকায় নেমে আসে। আর গত শনিবার ও মঙ্গলবার গড়ে ১৬০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।দুই সপ্তাহের ব্যবধানে চলনবিলের হাটবাজারে পাটের দাম মণপ্রতি ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত কমে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র চাষিরা৷
চলনবিল এলাকার গুরুদাসপুর উপজেলার বিলদহর গ্রামের পাট চাষী মহির উদ্দিন জানান, এ বছর পাটের দাম প্রথমে ভালোই ছিলো৷ হঠাৎ দাম কমে যাওয়ায় পাট ধোয়া, আবাদ খরচ ও জমি লিজ খরচ বাদ দিলে বিঘাপ্রতি জমিতে দুই থেকে তিন হাজার টাকা লস হবে৷
চাঁচকৈড় মোকামের পাট ব্যবসায়ী মোকলেসুর রহমান জানান, পাটকল মালিক রা হঠাৎ করে পাট নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে৷ যার ফলে বেশি দামে ব্যবসায়ীরা এবছর পাট কিনতে চাচ্ছে না৷
নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর নাটোর সহ চলনবিলের ৪০ ভাগ জমিতে তোষা জাতের পাট আবাদ করা হয়েছে।চলতি লকডাউন ও পাটকল মালিকদের পাট কিনতে অনীহার কারনে এ বছর চলনবিলের পাট চাষীরা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কায় আছেন৷