বগুড়ার শেরপুরে পরকীয়া করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক পুলিশ কনস্টেবল

907

অনলাইন ডেস্ক

বগুড়ার শেরপুরে পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর হাতে আটক হন পুলিশ কনস্টেবল পারভেজ হোসেন। সেই সঙ্গে অবরুদ্ধ ওই পুলিশ কনস্টেবলকে মারধরও করেন উত্তেজিত জনতা। এক পর্যায়ে খবর পেয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক আনন্দ মোহন্ত ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুর পৌরশহরের গোসাইপাড়া এলাকায়। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ার পর শহরজুড়ে শুরু হয় সমালোচনা। পরে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় গতকাল বিকেলে ওই পুলিশ কনস্টেবলকে বগুড়া পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বেসরকারি একটি এনজিও কর্মকর্তা তার স্ত্রীকে নিয়ে পৌরশহরের গোসাইপাড়াস্থ একটি বহুতল ভবনে ভাড়া থাকতেন। তবে চাকরির কারণে ওই এনজিও কর্মকর্তা বাইরে থাকেন। আর এই সুযোগে তার স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে যান পুলিশ কনস্টেবল পারভেজ হোসেন। বিগত দু’মাস ধরে তাদের মধ্যে এই অনৈতিক সম্পর্ক চলছে। এরই সূত্রধরে গত বুধবার রাতে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে তাদের ভাড়া বাসায় যান ওই পুলিশ কনস্টেবল। একপর্যায়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ঘটনাটি জানতে পেরে সেখানে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবল পারভেজ হোসেনকে আটক করেন। সেই সঙ্গে উত্তমমাধ্যম দিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরবর্তীতে খবর পেয়ে শেরপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই কনস্টেবলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল পারভেজ হোসেন। তিনি বলেন, কোনো পরকীয়া সম্পর্কে নয়। স্থানীয় একজন লন্ড্রি মালিকের সঙ্গে দাওয়াত খেতে ওই বাসায় গিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া ওই নারীর সঙ্গে কোনো অনৈতিক সম্পর্ক নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বিগত দু’মাস আগে পুলিশ কনস্টেবল পারভেজ অস্থায়ীভাবে থানায় নিয়মিত ডিউটি পালনের জন্য এসেছিলেন। তাকে ঘিরে একটি অনৈতিক ঘটনার অভিযোগ ও তাকে অবরুদ্ধ থাকার ঘটনাটি ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়। পরবর্তীতে তাকে বগুড়া পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।