শাজাহানপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ চেস্টাকারী গ্রেফতার: পুলিশী ভূমিকায় সন্তোষ ভূক্তভোগীরা

435

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক কিশোরী(১৩)’কে প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ চেস্টার ঘটনায় তাৎক্ষনিক পুলিশি সহযোগীতা পেয়েছে ওই পরিবার। গত বুধবার ওই কিশোরীর পক্ষ থেকে থানায় এজাহার করা হয়। এজাহারে একমাত্র আসামী হন গোহাইল ইউনিয়নের রুপিহার গ্রামের মৃত হাসেম আলীর ছেলে পান ব্যাবসায়ী জিন্নাল হোসেন(৪৫)। সেদিন দুপুড়ে থানার এসআই শামীম হাসান, এসআই জেবুন্নেছা সহ সঙ্গীয় ফোর্স তাকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারের পর কিশোরীকে ধর্ষণ চেস্টার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন জিন্নাল।
গত সোমবার(২৬জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার গোহাইল ইউনিয়নের রুপিহার মধ্যপাড়া(স্কুলপাড়া) গ্রামে বাড়ির পাশেই পুকুর পাড়ে এই ঘটনা ঘটে। গোসল শেষে মেয়েটি কাপড় ধোয়ার জন্য সেখানে গিয়েছিলো। এই ঘটনার উপযুক্ত বিচার দাবি করেন নির্যাতনের শিকার ওই পরিবারের সদস্যরা সহ গ্রামবাসি।
অপরদিকে ঘটনা ধামাচাপা দিতে চেস্টা চালায় স্থানীয় মাতব্বর খলিলুর রহমান। কতিপয় যুবকদের টাকাও দেয়া হয়। পরে সেই টাকা শত ভাগ গচ্চা যায়।
মেয়েটির পরিবার থেকে বলা হয়, আগে কোনদিন তারা থানা চিনতেন না। তারা শুনেছিলেন থানায় বিচার চাইতে গেলে অনেক টাকা লাগে। কিন্তু তাদের সেই ধারণা পাল্টে গেছে। থানা পুলিশ সমস্ত ঘটনা শুনে তাদের সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। সত্যতা পেয়ে সাথে সাথে জড়িত জিন্নালকে গ্রেফতার করেছেন। রাতে পুলিশের গাড়িতে নিরাপত্বা দিয়ে আবারো বাড়িতে রেখে গেছেন। তাদের নিরাপত্বার বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন। আইনী সহায়তা পেয়ে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
জিন্নালের বড় ভাই আব্দুল হান্নান মোবাইল ফোনে বলেন, স্থানীয় ভাবে মিমাংসার জন্য টাকা দিয়েছিলেন। সেই টাকা ওরা(ধর্ষণ চেস্টার শিকার মেয়ে) নেয় নাই। পরে সেই টাকা নিয়ে অনেক কিছু হয়ে গেছে। স্থানীয় ভাবে মিমাংসার কথা বলে যারা টাকা নিয়েছিলো তারা আর ফেরৎ দেয়নাই। এখন ভাইকে জামীনে মুক্ত করার চেস্টায় আছেন।
থানার এসআই শামীম হাসান জানান, অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এসআই জেবুন্নেছা এবং সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ অভিযানে নামেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জিন্নাল দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেস্টা করেন। অনেক খানি দৌড়ে তাকে গ্রেফতার করতে স্বক্ষম হন। পুলিশের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন জিন্নাল।