বগুড়ায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৫ সদস্য গ্রেফতার

592

বগুড়ায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ৫সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ। বুধবার রাত আনুমানিক পৌনে ১১টার সময় শহরের মাটিডালি-বানানী ২য় বাইপাসের একটি খাবার হোটেলের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দুদু মিয়ার ছেলে আব্দুল করিম মন্ডল (২৬), মৃত নুর হোসেনের ছেলে আনজু (৩৫), মহির উদ্দিনের ছেলে মোস্তাক মিয়া ওরফে মোর্চ্চা (৪৯), পরশুরাম চন্দ্রের ছেলে কার্তিক (২৪) ও চন্দ্র দাসের ছেলে সুজন চন্দ্র দাস (২২)।

এসময় তাদের কাছ থেকে একটি ওয়ান শুটার গান (যাতে কার্তুজ ব্যবহার করা যায়), ২টি তাজা কার্তুজ (১টি লাল ও ১টি কালো), একটি চায়নিজ চাপাতি (যার দৈর্ঘ্য ১২.৫ ইঞ্চি), ১টি বার্মিজ চাকু (যার দৈর্ঘ্য ১০ ইঞ্চি), একটি গ্রিল কাটার মেশিন (হেভী কাতানী), মানুষকে বেঁধে রাখার ৩০ হাত রশি, ১টি কচটেপ, ১টি মানকি টুপি উদ্ধার করা হয় ৷ বৃৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জেলার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী তার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

পুলিশ সুপার জানান, গ্রেফতারকৃতরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। পরিকল্পনা মাফিক তারা বিভিন্ন জেলায় অপরাধ সংগঠিত করে আসছিল। তারা মূলত বিভিন্ন বড় বড় দোকান, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, জুয়েলারি শপ সহ রাতে গরুর ট্রাকগুলোতে ডাকাতি করতো ৷ বগুড়ায় তারা মূলত বড়রকম কোন অপরাধ সংগঠিত করার জন্য সংগঠিত হয়েছিল। তবে খবর পেয়ে দ্রুত সময়ে সদর থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়৷ তবে ওই সময় অজ্ঞাত আরও ৫/৭ জন ডাকাত দলের সদস্য পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন থানায় ডাকাতি ও ডাকাতির প্রস্তুতি মামলা আছে। তাদের আদালতে প্রেরণ করে অধিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা ১০ দিনের রিমান্ড চাইবো। পাশাপাশি জেলায় যেন কোন অপরাধ সংগঠিত না হয় এজন্য আমরা প্রো-অ্যাক্টিভ পুলিশিং চালিয়ে যাবো৷

পুলিশ সুপার অপরাধ দমনে বগুড়ার সাধারণ মানুষদের সহায়তা চেয়ে বলেন, আপনাদের আশপাশে সন্দেহমূলক কিছু বা আগুন্তকরা দলবদ্ধভাবে ঘোরাফেরা করলে ৯৯৯ এর মাধ্যমে আমাদের জানান।

পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী আরও জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সদর থানায় ডাকাতি প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হবে এবং আদালতে আসামীদের রিমান্ড আবেদন করা হবে।