বগুড়ার শাজাহানপুরে একদিকে পুলিশি পাহারার ফটোসেশন অন্যদিকে সিঁদ কেটে চুরি

311

শাজাহানপুর(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার আমরুল ইউনিয়নে গত এক সপ্তাহের চুরির ঘটনা ঘটেই চলছে। একদিকে পুলিশ ফটোসেশন করেছে অন্যদিকে রাত্রে ২টি বাড়িতে সিঁদ কেটে চুরি সংঘটিত হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটে। ওই রাতে পুলিশ আমরুল ইউনিয়নের নগর গ্রামের বাজারে পাহারার ছবি ফেসবুকে আপলোড করেন এবং সেই রাতেই বড়নগর গ্রামে ২টি বাড়িতে সিঁদ কেটে চুরি হয়। চুরি হওয়া বাড়ির মালিকরা হলেন পুটু মিয়ার ছেলে শামীম হোসেন(৩৫) এবং আয়েজ উদ্দিনের ছেলে সুজন মিয়া(৩৫)। এনিয়ে গত ৬দিনে ৪টি গ্রামের ১৬টি বাড়িতে একই কায়দায় চুরি সংঘটিত হয়েছে। থানা পুলিশ বিট পুলিশিং কার্যক্রম গুরুত্ব না দেয়ায় চুরির মত অপরাধ বাড়ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
গতকাল শুক্রবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চুরি হওয়া মালামাল এবং চুরির সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনাই পুলিশ।
এর আগে গত শনিবার রাতে ওই ইউনিয়নের রামপুর পূর্বপাড়া গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম(৩৫), লকিমুদ্দিনের ছেলে দবির উদ্দিন(৫০), মৃত আজাহার আলী সরকারের ছেলে আব্দুর রহমান(৫০)’র বাড়িতে চুরি হয়।
গত রোববার রাতের কোন এক সময় যাদবপুর গ্রামের বাদশা আকন্দর ছেলে ইলিয়াস সানি(২৬), টোনা মিয়ার ছেলে আশিকুর(৩৫), মিজানুর রহমানের ছেলে ছলি(৩২), রজিবুল্লাহর ছেলে তোতা মিয়া(৩৫), আজর আলীর ছেলে আজাহার(৪০), মৃত মোজাম সরকারের ছেলে লোটাস সরকার(৪০) এবং হায়দার আলীর ছেলে সাইফুল ইসলামে(৫৫)’র বাড়িতে সিঁদ কেটে চুরি হয়।
গত সোমবার রাতে রামপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে আমজাদ হোসেনের ছেলে আব্দুল হান্নান(৪৮), হবিবর রহমানের ছেলে মুকুল(৫০), ইব্রাহিমের ছেলে আব্দুল মজিদ(৫৮), এবং সাহেব আলীর ছেলে মিন্টু(৪২)’র বাড়িতে সিঁদ কেটে চুরি হয়।
সুজন মিয়া জানান, একটি এনজিও থেকে ঋন নিয়েছিলেন। চোরেরা সিঁদ কেটে সেই টাকা চুরি করে নিয়েছে। সাথে স্বর্নালংকার আর মূল্যবান যা কিছু ছিলো সব নিয়ে পালিয়েছে। একই কায়দায় চুরি হয়েছে শামীম হোসেনের বাড়ি থেকেও।
বড়নগর গ্রামে বৃহস্পতিবার পাহারায় থাকা গ্রামপুলিশ বিশ্বনাথ বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তিনি সহ থানা পুলিশ রাত জেগে গ্রাম পাহারা দিয়েছেন। রাত আড়াইটা অবধি ওসি সহ থানা পুলিশ নগর এলাকায় অব¯’ান করেন। সে সময় পুলিশ ছবি তোলেন। কিš‘ একপাশে পাহারায় থাকা কালে আরেক পাশে চুরি হয়ে গেল। চোরেরা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে চ্যালেঞ্জ দি”েছন বলে আপাতত মনে হ”েছ।
আমরুল ইউনিয়নের একজন এ্যাডভোকেট এবং ডাক্তার বলেন, বিট পুলিশিং কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারের দায়িত্বে অবহেলার কারণে চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিট পুলিশিং কার্যক্রম গতিশিল করতে পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃস্টি আকর্ষন করেছেন তারা।
উপজেলার আমরুল ইউনিয়নে বিট পুলিশিংয়ের দায়িত্বে থাকা শাজাহানপুর থানার এসআই মিজানুর রহমান এ ব্যপারে কথা বলতে রাজি হননি।
চুরির বিষয়ে জানতে চাইলে আমরুল ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অটল জানান, আমাদের এলাকায় চুরির ঘটনা ছিলনা তবে বিষয়টি থানা পুলিশ অবগত আছেন এবং গ্রাম পুলিশের টহল কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
শাজাহানপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকত(ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সিঁদ কেটে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করা সংঘবদ্ধ চক্রকে ধরতে থানা পুলিশ কাজ করছে।