বগুড়ায় চাকুরী দেওয়ার নামে প্রতারণা চক্রের মূল হোতা মেহেরুল এবং কামরুল আটক

367

শিবলী সরকার স্টাফ রিপোর্টার

বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া থানাধীন একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন বাহিনী/সংস্থায় ভর্তি করার নামে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে আনুমানিক ৮০ থেকে ৯০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। প্রতারক চক্রটি উক্ত বাহিনী/সংস্থার কর্মকর্তা সেজে বিভিন্ন লোকের সাথে মোবাইলে কথা বলে এবং বাহিনী/সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তার নামে প্রার্থীর মোবাইলে ভুয়া নিয়োগ এসএমএস পাঠায়। প্রতারক চক্রটি মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের নিকট থেকে বিপুল পরিমান টাকা সংগ্রহ করে। একাধিক ভুক্তভোগী র‌্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পে উক্ত প্রতারকের চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। এরই ফলশ্রুতিতে ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখ ২১.০০ ঘটিকায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়া এর একটি আভিযানিক দল বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া থানা এলাকায় অভিযান চালায় এবং প্রতারক চক্রের মূলহোতা ১। মোঃ মেহেরুল ইসলাম (৩৩), পিতা- মোঃ মুনছুর আলী মন্ডল, সাং- স্বর্গপুর হাজীপাড়া, ২। মোঃ কামরুল হাসান (২৯), পিতা- মনোয়ারুল হক, সাং- রেলকলোনী তালোড়া বাজার, উভয় থানা- দুপচাঁচিয়া, জেলা-বগুড়াদ্বয়কে গ্রেফতার করে।

পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ধৃত আসামীদ্বয় বাহিনী/সংস্থায় সদস্য পদে চাকুরী দেওয়ার নাম করে সহজ সরল মানুষদের সরলতার সুযোগ নিয়ে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা লেনদেন করে। প্রতারক চক্র আরো স্বীকার করে যে, ভূয়া নিয়োগ এসএমএস পাঠানোর ক্ষেত্রে তারা ইঁষশ ঝগঝ ক্রয় করে অনলাইনের মাধ্যমে ভূক্তভোগীদেরকে প্রেরন করতো। এভাবে তারা প্রায় ৮০ থেকে ৯০ লক্ষ টাকা প্রতারনার মাধ্যমে ভূক্তভোগীদের নিকট হতে হাতিয়ে নেয়। তারা প্রতারণার কাজে, ১। ল্যাপটপ- ০৪ টি, ২। মোবাইল- ১৮ টি,৩। সিডি- ১৫ টি, ৪। পিসি- ০১ টি,৫। সিমকার্ড – ৫৮ টি,৬। পেনড্রাইভ -০৭ টি, ৮। হার্ডডিস্ক – ০২ টি ব্যবহার করত।

এ প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে এলাকার অনেক জনসাধারণ নিঃস্ব হয়েছে। প্রতারিত ব্যক্তিরা তাদের টাকা চাইতে গেলে প্রতারক চক্র তাদেরকে দেখে নিবে বলে হুমকি দেয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন প্রক্রিয়াধীন আছে। প্রতারক চক্রটি টাকার বিনিময়ে চাকুরী দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নিয়ে সরকারের ও উক্ত বাহিনী/সংস্থার সুনাম নষ্ট করেছে।