নওগাঁ পৌর মেয়র এবং জেলা বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ তিন নেতা কারাগারে

118

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁয় পুলিশের সাথে সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানোর একটি মামলায় পৌর মেয়র ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজমুল হক সনিসহ জেলা বিএনপির তিন নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছে নওগাঁর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অপর দুই আসামী হলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম ধলু ও নওগাঁ পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক প্রভাষক মিজানুর রহমান মিজান। আদালত সূত্রে জানা গেছে, এই মামলায় এর আগে হাইকোর্ট থেকে গত ৭এপ্রিল তিন মাস মেয়াদের অন্ত্মবর্তিকালিন জামিন নিয়েছিলেন আসামিরা। এরই মধ্যে আসামীরা উচ্চ আদালতের নির্দেশে নিম্ন আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করেন গত ২৫ আগষ্ট। আজ বৃহস্পতিবার এই মামলার জামিন শুনানীর দিন ধার্য ছিল। অভিযুক্তরা আজ আদালতে জামিনের আবেদন করে আত্মসমর্পন করেন।

নওগাঁর চীফ জুডিশিয়াল আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আশরাফুল ইসলাম জামিন শুনানী শেষে আবেদন না মঞ্জুর করে আসামীদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামিদের বিরম্নদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি সম্পত্তিসহ ও জন সাধারনের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে গত ৩০ মার্চ নওগাঁ সদর থানায় মামলা হয়। পৃথক দুই মামলায় ৫৭ জনের নাম উলেস্নখ ও আরও অজ্ঞাত আসামী করা হয়।

আসামী পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে এ্যাড. এজেডএম রফিকুল আলম জানান, মামলার অন্য আসামীরা জামিনে আছেন। পৌর মেয়র ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপকি নজমুল হক সনি, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু ও প্রভাষক মিজানুর রহমানের জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন আসামী পক্ষের আইনজীবিরা।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৩০ মার্চ দুপুরে নওগাঁ শহরের কেডির মোড়ে বিএনপির নেতা কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। হেফাজত কর্মী নিহতের ঘটনায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ওই দিন তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছিলো বিএনপি নেতা কর্মীরা। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে। ওই ঘটনায় নওগাঁ সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।