শহীদ জিয়ার লাশ কবরে আছে কি নেই এতদিন পরে তা কেন সংসদে আলোচনা হচ্ছে-এমপি মোশারফ হোসেন

279

কাহালু (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে “বাংলাদেশ জাতীয় আরকাইভস বিল” ২০২১ এর ওপর আলোচনা কালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বগুড়া-৪, কাহালু-নন্দীগ্রাম এলাকার সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. মোশারফ হোসেন তার বক্তব্যে বলেন মাননীয় স্পিকার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের লাশ রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে আছে কি নাই, সেটা বড় বিষয় নয়। সেখানে যে লাশ নাই। তা আপনারা (আওয়ামীলীগ) কীভাবে জানলেন? এত বছর ক্ষমতায় আছেন। এটা নিয়ে আগে আপনারা কথা বলেন নাই কেন? হঠাৎ করে কেন বলছেন?। এম পি মোশারফ হোসেনের বক্তব্যের পরেই শুরু হয় পাল্টাপাল্টি বক্তব্য।

বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন মাননীয় স্পিকার, মানিক মিয়া এভিনিউতে জিয়াউর রহমানের যে জানাযা হয়েছিল। তাতে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। শোক প্রস্তাবের ওপর সংসদে দীর্ঘ আলোচনায় তারা অংশ নিয়েছিলেন। সেগুলো প্রসেডিংসের মধ্যে আছে।
তিনি আরও বলেন মাননীয় স্পিকার কারো যদি অপমৃত্যু হয়। তাহলে ময়না তদন্ত লাগে। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর লাশের ময়না তদন্ত হয়েছে। সামরিক আদালতে বিচারও হয়েছে। এটা অসত্য কিছু নয়।

বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন মাননীয় স্পিকার আজকে ৪০ বছর পরে কেন জিয়াউর রহমানের কবর নিয়ে এই বির্তক। সরকারের ব্যর্থতা, ভোট চুরি, গণতন্ত্রহীনতা, লুটপাট থেকে মানুষের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য এই বির্তক করা হচ্ছে।
রুমিন ফারহানার বক্তব্যের শেষের দিকে সংসদে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সরকার দলীয় সদস্যরা হইচই করেন।
বিএনপির সংসদ সদস্যরা বাদে জিয়ার লাশ কবরে আছে কি নেই এই বিষয়ে জাতীয় সংসদে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালেদ, আওয়ামীলীগের সিনিয়র সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী।