নামুজা-বুড়িগঞ্জ প্রেসক্লাবে ফজিলার সংবাদ সম্মেলন

213

ইমরানুল হকঃ ১৮ সেপ্টেম্বর (শনিবার) বিকালে বগুড়ার নামুজা-বুড়িগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বগুড়া সদরের নামুজা ইউপির পাল্লাপাড়া গ্রামের শাহিনের স্ত্রী ফজিলা বিবি (জাতীয় পরিচয়পত্র নং-৬৮৫৫০১৯১৭৭) তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন আমার কন্যা শামিমা আক্তরকে গত ৩০.১০.১৪ তারিখে হাসান মাহমুদ পিতাঃ কোব্বাদ আলী প্রাং সাং-আলীগ্রাম, থানা-শিবগঞ্জ, জেলা-বগুড়া। সহিদ বিবাহ দেই। হাসাস মাহমুদ তার সহিদ ঘর সংসার করা অবস্থায় শামিমা আক্তার নিখোঁজ হইলে আমি বগুড়া সদর থানায় একটি জিডি করি যার নং-৪২৩/৬.০৯.১৯। পরে জানিতে পারি শামিমা আক্তারের সহিত জাহিদুল ইসলাম, পিতাঃ জাহাঙ্গীর আলম, সাং-কর্পুর থানা-শ্রীপুর, জেলা-গাজীপুরের ফেসবুকে পরিচয়ে পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হইয়া ৫.৯.১৯ তারিখে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হইয়াছে। অর্থলোভী ও নারী লোভী জাহিদুল ইসলাম আমার মেয়ে শামিমা আক্তরের সাথে থাকা টাকা নষ্ট করিয়া সোনার গহনাদি বিক্রয় করিয়া টাকা পয়সা শেষ হওয়া মাত্রই আমার মেয়েকে অন্যায় দাবীতে মারপিট জ্বালাযন্ত্রনা করিতে থাকায় আমার মেয়ে সহ্য করিতে না পারিয়া ৭.১১.১৯ তারিখে স্বামী তালাক করিয়া আমার বাড়ীতে আসে কিছুদিন পর উক্ত শামিমা আক্তার কোন কিছু না জানাইয়া আমার বাড়ী হইতে চলিয়া গেলে আমি নিরুপায় হইয়া গত ৯.১.২০ তারিখে বগুড়া সদর থানায় ৫৬৪ নং ১খানা জিডি করি। তা হইতে আমি আমার মেয়ে শামিমা আক্তারের খোঁজ খবর রাখি নাই। গত ১৫.৯.২১ তারিখে জানিতে পারি যে, আমাকে আসামী করিয়া শ্রীপুর থানায় মামলা করা হয়েছে। আমি উক্ত মামলার কোন কিছু জানিনা বা জানার কারণ নাই। আমার ধারণা আমার মেয়ে তার স্বামী জাহিদুল ইসলামের অত্যাচারে অত্যাচারিত ও অতিষ্ট হইয়া জীবন জীবিকার তাগিদে তাহার গর্ভজাত সন্তানকে দত্তক দিয়াছে। আমার মেয়ে নির্দোষ। সে পরিস্থিতির স্বীকার। এহেন নির্যাতিতা স্বামী জাহিদুল ইসলামের মানবাধিকারের মাধ্যমে বিচার চাই। ইহাই আমার বক্তব্য।