শেরপুরে আবাসিক এলাকায় পোল্ট্রি খামার পরিবেশ বিপর্যস্ত

218

মোঃ জাকির হোসেন শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়ার শেরপুরের শহরতলী শেরুয়া বটতলা আবাসিক এলাকায় গড়ে ওঠা একটি পোল্ট্রি খামারের কারণে পরিবেশ বিপর্যস্ত হওয়ায় এলাকাবাসী কয়েকদিন আগে শেরপুর থানা, উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরেও অভিযোগ দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের শেরুয়া বটতলা আবাসিক এলাকায় মৃত মজিবর রহমানের ছেলে শিহাব উদ্দিন মুগির খামার দিয়ে ব্যবসা করে আসছিল। ওই মুরগির খামারের বর্জ্য ও ময়লা আবর্জনার কারণে এলাকায় পরিবেশের ব্যাপক বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বর্জ্য দুষণের কারণে অনেকেই চর্মরোগ, সর্দি-কাশি, পেটের পীড়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। খামারের স্থানান্তর করার জন্য জ্জ দিন আগে শেরপুর থানা, উপজেলা প্রশাসন ও বগুড়া জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরে লাইলী বেওয়া নামের একজন অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ দায়ের হলেও এখন পর্যন্ত আইন প্রয়োগকারী কোন সংস্থাই ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। এই নিয়ে অভিযোগকারী সহ এলাকাবাসী পরিবেশ নিয়ে শংকার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
ওই পোল্ট্রি খামার সংলগ্ন প্রতিবেশী লাইলী বেওয়া জানান, মুরগীর খামারে মুরগির বিষাক্ত বর্জ্য, দুর্গন্ধ এবং শব্দের কারণে ঘরে বসবাস করা কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে। বর্জ্য নির্গমনের কারণে বাতাসে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে করে মানুষ বিশেষ করে শিশুরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তারা মুরগির খামারটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য পরিবেশ অধিদফতরের কাছে দাবি জানিয়েছেন। মুরগির খামারের বর্জ্যের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন স্থানীয়রা। বারিক, হাবিবুর জানান, আবাসিক এলাকায় খামার স্থাপন করায় বর্জ্য দুষণের কারণে অনেকেই চর্মরোগ, সর্দি-কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে খামারের স্বত্তাধিকারী শিহাব বলেন, আমার জায়গায় কি আমি মুরগির খামার করতে পারবনা। স্থানীয়দের এসব অভিযোগ মিথ্যাচার ও ভিত্তিহীন। একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে আমার উত্থানকে হোসেন আলীর মত প্রভাবশালীরা ভালো নজরে গ্রহণ করতে পারছেন না।
বগুড়া পরিবেশ অধিদফতরের উপ পরিচালক আসাদুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যভস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, যদি অভিযোগ দিয়ে থাকে তাহলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, আবাসিক এলাকায় খামার থাকলে পরিবেশ রক্ষার্থে প্রয়োজনী ব্যবস্থা রাখতে হবে।