বগুড়ার শেরপুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন এক কলেজ ছাত্রী

675

জাকির হোসেন শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধি

বৃহস্পতিবার (২৩সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের প্রেমিক রিপন আহম্মেদের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন তিনি। প্রেমিক রিপন আহম্মেদ ওই গ্রামের মো: আবুল খায়েরের ছেলে।

ভুক্তভোগী ওই কলেজ ছাত্রী একই ইউনিয়নের দামুয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি শেরপুর ডিগ্রী কলেজের প্রথম বর্ষের এবং রিপন আহম্মেদ বগুড়া আজিজুল হক কলেজে অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। এ ঘটনার একদিন আগে থেকেই রিপন আহম্মেদ উধাও হয়ে গেছেন।

ভুক্তভোগী ওই কলেজ ছাত্রী জানান, গত তিন বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রেমিক রিপন আহম্মেদ তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। এর পর গত ২০সেপ্টেম্বর রিপন আহম্মেদ অন্য এক মেয়েকে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেছে বলে খবর আসে।

বিষয়টি জানতে পেরে ওই দিনই তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে রিপন আহম্মেদ দেখা করবে বলে পরের দিন ২১সেপ্টেম্বর বিকেলে প্রেমিকার বাড়িতে আসে।

সেখানে প্রেমিক-প্রেমিকার কথা কাটাকাটি শুনতে পেরে এলাকার লোকজন জড়ো হয় এবং তাদেরকে আটকে রাখে।

তার কিছুক্ষণের মধ্যেই রিপন আহম্মেদের লোকজন মো: খোকন, মো: আসাদ, ফারুক সহ প্রায় ৮/১০ জন ভুক্তভোগীর বাড়িতে এসে ভুক্তভোগীকে মারধর করে রিপন আহম্মেদ কে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

এ সময় তাড়াহুড়ো করে রিপন আহম্মেদ কে ছিনিয়ে নিয়ে যাবার সময় একটি বাজাজ ডিসকভার- ১২৫ সিসির মোটরসাইকেল রেখে চলে যায় তারা। এর পর আহত অবস্থায় ওই দিন রাতেই ওই কলেজ ছাত্রী শেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

কিন্তু প্রেমিক রিপন আহম্মেদ প্রেমের সম্পর্ক অস্বীকার করে পলাতক থাকায় বাধ্য হয়েই প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন বলে জানান তিনি। তাকে বিয়ে না করলে আতœঘাতি হবেন বলেও জানান এই কলেজ ছাত্রী।

পলাতক থাকায় এ বিষয়ে প্রেমিক রিপন আহম্মেদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার মা রিনা বেগম জানান, ছেলের বাবা বাড়িতে নেই তিনি বাড়িতে আসলেই এর একটা নিরসন হবে।

এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শহিদুল ইসলাম বলেন, মেয়েকে বলা হয়েছে অভিযোগ দিতে অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব