শেরপুরে পিঁয়াজ-মরিচ সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যে ঊর্ধ্বগতি

190

মোঃ জাকির হোসেন শেরপুর (বগুড়া)প্রতিনিধি

বগুড়ার শেরপুরে কাঁচা মরিচ ও পিঁয়াজ সহ সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে ক্রেতাসাধারণ। মরিচের ঝাল আর পেঁয়াজের ঝাঁজের সাথে একাকার হয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মুরগি আর ডিম। নিম্ন ও সীমিত আয়ের মানুষদের নাভিশ্বাস।

শেরপুর রেজিস্ট্রি অফিস বাজার, গাড়িদহ কাঁচাবাজার শেরুয়া বটতলা শেরপুর সকাল বাজার সহ শেরপুর বারদুয়ারী হাট ও মির্জাপুর হাট সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় পিয়াজ মরিচ এর সঙ্গে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য ঊর্ধ্বগতি। নেই কোন বাজার মনিটরিং বা বাজার নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সপ্তাহ যাবত বাজারে সয়াবিন তেল, মুসুর ডাল, চিনি,পেয়াঁজ, কাঁচামরিচ, ডিমসহ প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ১৫০থেকে ১৫৫ টাকা, ছোট দানা মুসর ডাল ১২০ টাকা কেজি, চিনি ৮০ টাকা কেজি,পেয়াঁজ ৭০ টাকা, কাঁচামরিচ ২শ টাকা কেজি, ডিমের হালি ৩৬টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালী মুরগী ২৮০ টাকা কেজি, ব্রয়লার মুরগী ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এক ধরনের ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে অধিক মুনাফা হাতিয়ে নেয়ার জন্য দফায় দফায় মূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছেন। ফলে বাজারে গিয়ে সাধারণ ও নিন্ম আয়ের মানুষেরা হিমশিম খাচ্ছেন। শেরপুর শহরের খন্দকার পাড়ার মোতালেব জানান, কদিন আগেই পেয়াজের কেজি ছিলো ৪০ টাকা। আজ হঠাৎ করে তা ৭০ টাকায় উঠে গেছে। প্রতিটি জিনিসেরই দাম বাড়ছে।
শেরপুর উপজেলা নাগরিক স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মুনসী সাইফুল বারী ডাবলু জানান, অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি রোধে সঠিকভাবে বাজার মনিটরিং করা দরকার। প্রশাসন চাইলে বাজার কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ময়নুল ইসলাম জানান, ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় দাম বাড়লে আমাদের কিছু করার নেই। কিন্তু সিন্ডিকেট করে নিত্যপন্যের দাম বাড়ালে আমরা সেটা দেখবো। আর নিয়মিতভাবে বাজার তদারিক করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।।