নন্দীগ্রামে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির ঘুষিতে সামনের তিনটি দাঁত হারালেন প্রধান শিক্ষক

165

শাহজাহান আলীঃ স্টাফ রিপোর্টারঃ

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার কোশাস উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃশামিম হোসেন ঘুষিতে সামনের তিনটি দাঁত হারালেন ভর তেতুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুল ইসলাম দুদু (৫৫)। এবিষয়ে আজ শুক্রবার
থানায় অভিযোগ দায়ের হযেছে।

৭অক্টোবর( বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার পন্ডিত পুকুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, কোশাস উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ শামিম হোসেন লিটনে সাথে ভর তেতুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুল ইসলাম দুদুর হাতাহাতি হয়। এর এক পর্যায়ে শামিম হোসেন প্রধান শিক্ষক মোঃ সাজ্জাদুল ইসলামের মুখে ঘুষি দিলে তার তিনটি দাঁত পড়ে যায়।
৮ অক্টোবর( শুক্রবার) আহত প্রধান শিক্ষক মোঃ সাজ্জাদুল ইসলাম দুদুকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সাজ্জাদুল ইসলাম দুদুর স্ত্রী ও একই উপজেলার কোশাস উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মঞ্জুয়ারা বেগম জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে তার বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির মিটিং হয়। মিটিং-এ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শামিম হোসেন লিটন ৪ জন শিক্ষক নিয়োগের বিষয় নিয়ে উত্তেজিত হয়ে নোটিশ খাতা ছিড়ে ফেলেন।

তিনি মিটিং না করেই বিদ্যালয় থেকে চলে যান। ওই দিন সন্ধ্যায় আমার স্বামী ভর তেতুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুল ইসলাম দুদু পন্ডিত পুকুর বাজারে যান। ওই বাজারে কোশাস উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শামিম হোসেন লিটনের কাপড়ের দোকান আছে।
আমার স্বামী তার দোকানে গিয়ে নোটিশ খাতা ছিড়ে ফেলার কারণ জানতে চায়। এনিয়ে দুজনের মধ্যে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায় শামিম হোসেন লিটন আমার স্বামীকে মারধর করে এবং মুখে ঘুষি দিলে তার সামনের তিনটি দাঁত পড়ে যায়। পরে তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে আজ উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোশাস উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শামিম হোসেন লিটন বলেন, সাজ্জাদুল ইসলাম দুদুর সাথে আমার হাতাহাতি হয়েছে। তিনি দোকান থেকে দ্রুত বের হয়ে যাওয়ার সময় কলাপসিবল গেটে ধাক্কা লেগে দাঁত পড়ে যায়।

নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।