বগুড়ায় স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে স্বামী খুন; এক বছর পর মামলার মূল আসামী গ্রেফতার

212

শাহজাহান আলীঃ স্টাফ রিপোর্টারঃ

বগুড়ার শেরপুরে স্ত্রীর পরকীয়ার জেরেই খুন হন শহিদুল ইসলাম(২৫)। এই ঘটনার এক বছর পর খুনী হাফিজুর রহমান খন্দকার (৪৫)কে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।
৭ অক্টোবা(বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় বগুড়ার শেরপুর উপজেলার জোড়গাছা ব্রিজ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত হাফিজুর রহমান খন্দকার বগুড়ার শেরপুর উপজেলাধীন সূত্রাপুর আখেরি পাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডি বগুড়ার সহকারী পুলিশ সুপার হাসান শামীম ইকবাল।

সিআইডির কর্মকর্তা হাসান শামীম ইকবাল জানান, ২০২০ সালের ৭ জানুয়ারি স্ত্রীর পরকীয়ার জের ধরে বগুড়া শেরপুরের সূত্রাপুর আখেরি পাড়া গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে শহিদুল ইসলাম খুন হন। স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক শাহীন খন্দকার তার অপরাপর সহযোগীদের নিয়ে শহিদুলের বসত বাড়ির পানি ভর্তি ডোবায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

এ ঘটনায় মৃত শহিদুল ইসলামের বড় ভাই মোঃ নজরুল ইসলাম ৪ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে ১০ জানুয়ারি ২০২০ এ শেরপুর থানার মামলা নং ১৬ ধারা ৩০২/ ২০১/৩৪ পিসি দায়ের করেন। ওই মামলার সাবেক তদন্তকারী অফিসার শেরপুর থানার এসআই রুম্মান হাসান এজাহারনামীয় দুই জন আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে এজাহারনামীয় অপর দুইজন আসামি এবং তদন্তে অভিযুক্ত আরও ৪ জনসহ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে ২০২০ সালের ৩১মে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
তিনি আরও জানান, এজাহারনামীয় দুই জন আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার কারণে বাদী আদালতে নারাজি আবেদন করেন। আদালত বাদীর নারাজি আবেদন মঞ্জুর করে মামলাটির অধিকতর তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদান করতে সিআইডি বগুড়া জেলাকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ খ্রিস্টাব্দে মামলাটি সিআইডি অধিগ্রহণ করে তদন্তকারী অফিসার হিসাবে সিআইডি বগুড়া জেলার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল হান্নান কে নিযুক্ত করেন। সিআইডি বগুড়া জেলার বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কাউছার সিকদার এর প্রত্যক্ষ দিক-নির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী অফিসার বিজ্ঞানভিত্তিক তদন্ত করে ৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবাত সন্ধ্যায় শেরপুরের জোড়গাছা ব্রিজ এলাকা থেকে মামলার মূল হোতা হাফিজুর রহমান খন্দকারকে গ্রেফতার করে।সিআইডি কর্মকর্তা হাসান শামীম ইকবাল আরও জানান, সিআইডি বগুড়া জেলার একটি বিশেষ টিম আসামিকে পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।