শেরপুরে খানপুর দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের জরাজীর্ন অবস্থা: কাজ অসম্পন্ন রেখে চলে গেছে ঠিকাদার

143

মোঃ জাকির হোসেন শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়ার শেরপুরে খানপুর দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের উর্ধোগামি সমপ্রসারণের কাজ অসম্পন্ন রেখে ঠিকাদরি প্রতিষ্ঠান কহিনুর কনস্ট্রাকশন চলে গেছে। এতে ব্যহত হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থা। ছাত্রীদের কমন রুম ওয়াশ রুম না থাকায় ভোগান্তিতে পরেছে তারা। এছাড়াও শিক্ষকদের বিশ্রামাগার না থাকায় ক্লাশ রুমেই বসে থাকতে হচ্ছে তাদের।
খানপুর দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইসমাইল হোসেন জানান, স্কুলটিতে শিক্ষার্থী বেশি হওয়ায় ক্লাস রুম বৃদ্ধির জন্য আবেদন করা হয়। পরবর্তিতে ২০১৯ সালে একতলা ভবনে উর্ধগামি সম্প্রসারণ ও টিন সেড ঘর গুলো ভেঙ্গে ভবন নির্মান করার অনুমোদন হয়। ২০২০ সালের শুরুতে টিন সেডের ঘরগুলো ভেঙ্গে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হেেয়ছে। প্রায় ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার এই কাজ ৬ মাসের মধ্যে শেষ করার কথা অথচ প্রায় দেড় বছর হলো কাজ বন্ধ রয়েছে। কাজের কোন অগ্রগতি না থাকায় এই দেড় বছরে ভবনটি ৩০ শতাংশকাজও সম্পুর্ন হয়নি। ভবন নির্মানের জন্য যে মাটি খোড়া হয়েছিল তা মাঠের মধ্যে রাখা হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য নির্মান সামগ্রীও মাঠের মধ্যেই রয়েছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল খোলা হয়েছে। স্কুলে আসার সময় মাঠে রাখা নির্মান সামগ্রীর সঙ্গে আঘাত লেগে সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মেহেদী আহত হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা খেলাধুলা করতে পারছেনা। এলোমেলো অবস্থা থাকায় মাঠে পানি জমে গেছে। এ অবস্থা থেকে কবে বিদ্যালয় পরিত্রান পাবে তা করোই জানা নেই। এ অবস্থা কাটিয়ে না উঠলে যখন ফুল ক্লাস শুরু হবে তখন খোলা আকাশের নীচে প্রখর রোদ্রে ক্লাস করতে হবে।
সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র অভি, ১০ শ্রেনীর ছাত্র বিশ^জিৎ ও সম্পদ কুমার জানান, আমরা সাইকেল নিয়ে বিদ্যালয়ে আসি। সেই সাইকেল রাখার জায়গা নেই। মাঠের মধ্যে নির্মান সামগ্রী রাখার কারনে খেলাধুলা করতে পারিনা। স্কুলে আসার সময় অনেকে আহত হয়। ১০ শ্রেনীর ছাত্রী মরিয়ম, উম্মে হাবিবা, জিম আক্তার জানান, আমাদের কমন রুম ও ওয়াশরুম না থাকায় ছাত্র,ছাত্রী ও শিক্ষক একই স্থানে অবস্থান করছি। প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে আমরা স্কুলের পাশে মানুষের বাড়ী বাড়ী ধর্না দিচ্ছি। এতে অনেক বাড়িওয়ালা সমস্যা মনে করছেন। আমরা নিজেরাও খুব ভোগান্তিতে আছি।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কহিনুর কনষ্ট্রাকশনের স্বত্তাধিকারী মো. সুমন বলেন, ওই বিদ্যালয়ের কাজের এষ্টিমেটে ভুল থাকায় কাজ তোলা সম্ভব হয়নি। ভবনের যে কাজ তাতে বাজেট অনেক কম ছিল। এষ্টিমেট সংশোধনের জন্য আবেদন দেয়া হয়েছে। আবেদনটি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। অনুমোদন হলে খুব দ্রুত কাজ সম্পন্ন করা হবে।