শাজাহানপুরে আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক মাছ ধরার অভিযোগ

286

শাজাহানপুর ( বগুড়া ) প্রতিনিধি:

বগুড়ার শাজাহানপুরে আওয়ামীলীগ নেতার বিরোদ্ধে জোরপূর্বক মাছ ধরার অভিযোগ উঠেছে। শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিরা ইউনিয়নের ডোমপুকুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের ঘটনাটি ঘটেছে।
এবিষয়ে শাজাহানপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী মাহবুবুর রহমান।মাহবুবুর রহমান জানায় বগুড়া জেলা শাজাহানপুর থানা, জে এল নং- ২৩৮, এম আর খতিয়ান নং-৩,আর এস খতিয়ান নং-৩৫০৬, ডিপি-নং ১৫০৭, সাবেক দাগ নং-২৫১৫, হাল দাগ নং-৩০৩৪,জমির পরিমাণ ৭৯ শতাংশ। ২০০৪ সালে ক্রয় করে এবং পরবর্তীতে পুকুর খনন করে দীর্ঘদিন যাবৎ মাছ চাষ করে আসছে।
গত কয়েকদিন পূর্বে বিবাদী গন , ১। মোঃ এনামুল হক (৪০) , ২। মোহাম্মদ আতিকুর রহমান (৩২), ৩। মোহাম্মদ সোনালী (৩৮), ৪। মোহাম্মদ ইমরান হোসেন (৩৫) সকলের পিতা মৃত আবু বক্কর , ৫। মোহাম্মদ রাব্বানী (৪০) পিতা মৃত রহিজ উদ্দিন , ৬। মুহাম্মদ মহসিন আলী (৪৫) পিতা মৃত মুসলিম উদ্দিন ,৭। গোলাম মন্ডল (৪০) পিতা মোহাম্মদ আফজাল হোসেন মন্ডল (বাচ্চু), ৮। মোঃ আফজাল হোসেন মন্ডল, (বাচ্চু) (৫৮) পিতা মৃত জব্বার মন্ডল, সহ কয়েকজন লোক নিয়ে আমার পুকুর পাড়ে গিয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মাছ মারার হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে ১১ অক্টোবর তারিখ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে ঘটনাস্থলে শাহজাহানপুর থানার উপ পরিদর্শক এস আই শামীম হোসেন গিয়ে উভয় পক্ষকে গন্ডগোল কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে নিষেধ করেন।
পরবর্তীতে বুধবার ভোর ৫টার দিকে মাঝিরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আফজাল হোসেন মন্ডল ওরফে (বাচ্চু) মন্ডল এর হুকুমে বিবাদী গন জোরপূর্বক রাতের আধারে ইলেকট্রিক সেলো মেশিন চালিয়ে পানি সেচ দিয়ে কুকুরের প্রায় ৫০ হাজার টাকার মাছ চুরি করে নিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান মাহবুবুর রহমান দীর্ঘদিন যাবৎ জমিতে মাছ চাষ করে আসছিল কিন্তু বিবাদীরা তাদেরকে কোন ভাবে মাছ চাষ করতে দিতে চাচ্ছিল না পরবর্তীতে তারা জোরপূর্বক মাছ ধরে নিয়ে চলে যায়।
এঘটনার বিষয়ে ওই এলাকার আবু তালেব, আব্দুল খালেক, গোলাম হোসেনসহ অনেকে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত মাঝিরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আফজাল হোসেন মন্ডল ওরফে (বাচ্চু)’র সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি বলেন, কে কাহারা মাছ চুরি করছে জানা নেই।
শাহজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।