অভিযুক্ত শিক্ষকের চূড়ান্ত বহিষ্কারের দাবীতে অনশনকারী এক শিক্ষার্থীর বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা

92

মোঃ আল আমিন হোসেন, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সভা মূলতবি করায় আমরণ অনশনরত এক শিক্ষার্থী হতাশাগ্রস্থ হয়ে আজ রোববার কিটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র শামীম হোসেন পূর্বেই ফেসবুক লাইভে এসে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যার হুমকি প্রদর্শন করেছিল। গত শনিবার তিনি এ স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। ২২ অক্টোবর শুক্রবার রাত থেকে শাহজাদপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী একাডেমিক ভবনের মূল ফটক তালাবদ্ধ করে শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিনকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবীতে শিক্ষার্থীরা এ আমরণ অনশন শুরু করেছে।

গত ২২ অক্টোবর শুক্রবার বিকেল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সভায় অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের বিরুদ্ধে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা মূলতবি করা হয়। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি (দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আব্দুল লতিফ শিক্ষার্থীদের বিষয়টি অবহিত করেন। এর প্রেক্ষিতে হতাশাগ্রস্থ ও বিক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়ক দীর্ঘক্ষণ অবরোধ করে রাখে। ফলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ তুলে নেয়। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে এসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এ সময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র শামীম হোসেন কিটনাশক পান করে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারসহ শিক্ষকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীদের আত্মঘাতি কোন পথ বেছে না নেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অপর আরেক মুখপাত্র সজিব আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে স্থায়ী বহিষ্কার না করা পর্যন্ত আমাদের আমরণ অনশন ও আন্দোলন অব্যহত থাকবে।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে ১৪ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রধান লায়লা ফেরদৌস হিমেল গত ২১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও উপাচার্য (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক আব্দুল লতিফের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এর প্রেক্ষিতে ২২ অক্টোবর শুক্রবার বিকেল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সভা অনুষ্ঠিত হয়।