শাহজাহান আলীঃ স্টাফ রিপোর্টার;
বগুড়ার শিবগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কিচক ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির মনোনিত প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে।
২৫ অক্টোবর ( সোমবার) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নের সোনার পাড়া নামক স্থানে দুই দলের সমর্থকদের মাঝে এ ঘটনা ঘটে। দ্বিতীয় ধাপে আগামী ১১ নভেম্বর এই ইউনিয়নের নির্বাচন আনুষ্ঠিত হবে।জানা গেছে, গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কিচক ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী এবিএম নাজমুল কাদির শাহজাহান চৌধুরীর সমর্থকরা ওই ইউনিয়নের গাদুর হাট বাজার থেকে নৌকা মার্কার পক্ষে গণ সংযোগ শেষে মোটরসাইকেল নিয়ে কিচক বাজারে ফেরার সময় সোনার পাড়া নামক স্থানে পৌঁছিলে, জাতীয় পার্টির মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জামিরুল ইসলাম রনির সমর্থকদের সঙ্গে বাকবিতন্ডতা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় উভয় পক্ষের ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়।
আহতরা হলেন, জাপা চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক মোস্তাফিজুর রহমান জোশেফ, রেজাউল করিম, সনি মিয়া, রাশেদ মন্ডল, সেলিম মিয়া, আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক মাছুম প্রধান, মহসিন আলী, আঃ হান্নান, রাজু মিয়া, মিঠু মিয়া। আহতরা শিবগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী এবিএম নাজমুল কাদির শাহজাহান চৌধুরী বলেন, আমার দলীয় নেতাকর্মীরা গাদুর হাট থেকে কিচকে ফেরার পথে সোনারপাড়া নামক বাজারে পৌঁছিলে প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সাথে কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে মারপিট করে। এতে আমাদের ৫ কর্মী আহত হয়েছে।
এ ব্যাপারে জাপা সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জামিরুল ইসলাম রনি বলেন, গাদুর হাটে আমার নির্বাচনী অফিসে প্রতিপক্ষের সমর্থকরা গিয়ে বিভিন্ন কু-রুচি পন্ন কর্থাবার্তা বলে। এর জের ধরে প্রতিপক্ষরা ক্ষিপ্ত হয়ে সোনার পাড়া বাজারে হঠাৎ করে আমার দলীয় নেতা কর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে মারপিট করে আহত করে।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোঃ সিরাজুল ইসলাম এর নিকট এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মঙ্গলবার কিচকের ঘটনায় দুই পক্ষই পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
