আবু সাইদ হেলাল স্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ায় স্কুল ছাত্রসহ দু’জনকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় হওয়া মামলায় ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ওরফে নুরু (৪৫) সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে বগুড়া সদর থানা পুলিশ।
ঘটনার দুই দিন পরে আহত রিকশা চালক ফারুকের স্ত্রী ঝর্ণা বেগম বাদি হয়ে সদর থানায় যুবলীগ নেতা নুরুসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ ও ১০জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টায় মামলায় ২ নম্বর অভিযুক্ত ওমর ফারুক (৩০) ও সানি (১৯) ঝর্ণা বেগমের ছেলে আবিব ও তার বন্ধু শাহরিয়ারকে মারধর করে। ওই সময় তার স্বামী ফারুক ও গ্যারেজের মালিক রিয়াজ তাদের মারামারি করতে নিষেধ করেন এবং ঝগড়া থামিয়ে দেন। তখন অভিযুক্ত ওমর ফারুক তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এর প্রায় ১ঘন্টা পরে অভিযুক্ত ২জন প্রায় ১৫ জন দুর্বত্তসহ লাঠি, লোহার রড, হাসুয়া, রামদা নিয়ে রিয়াজের গ্যারেজে প্রবেশ করে ভাঙচুর শুরু করে। একপর্যায়ে তারা গ্যারেজে থাকা স্কুল ছাত্র অভি ও ঝর্ণার স্বামী রিকশাচালক ফারুককে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। পাশাপাশি গ্যারেজে থাকা নগদ প্রায় ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। আর এসব কিছুর নেতৃত্ব দেন ২নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরু।
জানা যায়, যুবলীগ নেতা নুরু ২নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও এবারে পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থনে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনও করেছেন। তার বিরুদ্ধে সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সবুজ হত্যা, পুলিশ সদস্য রমজান আলী ও আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদুলকে হত্যাচেষ্টা মামলা,বিষ্ফরোক একটি আইনে মামলা ও অবৈধভাবে বালু উত্তলনের দুটি মামলা রয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম জানান, তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাঘাতের ঘটনাটি ঘটেছে। গতরাতে তাদের নামাবাল এলাকার একটি ভাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের দুপুর সাড়ে ৩টায় আদালতে পাঠানো হয়। এছাড়াও পুলিশের এই কর্মকর্তা যুবলীগ নেতা নুরুর বিরুদ্ধে থাকা ৬টি মামলার কথা স্বীকার করে বলেন, এসব মামলাগুলো আদালতের নজরে আনা হবে।