শেরপুরের ইউপি নির্বাচনে ৪৮ ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র, ব্যলট যাবে সকালে

214

মোঃ জাকির হোসেন শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় দ্বিতীয়ধাপে ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন আগামী ১১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে সর্বমোট ১০৯টি কেন্দ্রের মাঝে ৪৮টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপুর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর সর্তকতা হিসেবে প্রার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ব্যালট পেপার নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন সকালবেলা কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

শেরপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোছা. আছিয়া খাতুন জানান, নির্বাচনে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলার ১০৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪৮টি গুরুত্বপুর্ণ এবং ৬১টি সাধারণ ভোটকেন্দ্র হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

বিশ্বস্তসুত্রে জানা গেছে, ঝুঁকির্পুণ কেন্দ্রের মধ্যে সুঘাট ও শাহবন্দেগী ইউনিয়নে ৭টি করে ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া সর্বনিন্ম ৪টি করে ঝুঁকিপুর্ণ কেন্দ্র ধরা হয়েছে খানপুর ও মির্জাপুর ইউনিয়নে। ভবানীপুরে ঝুঁকিপুর্ণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৬টি। এছাড়া কুসুম্বী, খানপুর, বিশালপুর ও সীমাবাড়ী ইউনিয়নে ঝুঁকিপুর্ণ কেন্দ্র রয়েছে ৫টি করে।

শেরপুর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শান্তিপুর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হবে। প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশের একটি মোবাইল টিম কাজ করবে। তাছাড়া সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৭ জন আনসার ও ৪জন পুলিশ সদস্য আইনশৃংখলা রক্ষার দায়িত্বে থাকবেন। এছাড়া গুরুত্বপুর্ণ ভোটকেন্দ্রে ১৭জন আনসার ও ৫ জন পুলিশ সদস্য থাকবেন।

শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, নির্বাচনের দিন আইনশৃংখলা রক্ষায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩৯জন, সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য পদে ১০৬জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ২৯৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এতে সর্বমোট ২ লাখ ১০ হাজার ৫৬৬জন ভোটার ১০৯টি ভোটকেন্দ্রে ভোট দিবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসলাম জানান নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে করার জন্য নির্বাচনের দিন সকালবেলা কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পৌঁছানো হবে।