বিনা হালে রসুন চাষে ব্যস্ত চলনবিলের কৃষকরা

236

এ এইচ খোকন চলনবিল প্রতিনিধিঃ চলনবিলের পানি কার্তিকের শেষে কমতে শুরু করে। পানি কমার সাথে সাথেই এই অঞ্চলের কাঁদা মাটিতে শুরু হয় রসুনের কোয়া রোপন৷ চলতি বছরেও চলনবিল এলাকায় শুরু হয়েছে বিনা হালে রসুনের কোয়া রোপন৷ বিলের পলিমাটি শুকিয়ে ওঠার আগেই কৃষকেরা কোন রকম হালচাষ ছাড়াই রসুন রোপন শুরু করেছে৷
এ বছর চলনবিলের সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, উল্লাপাড়া, পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, নাটোরের গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষি জমিগুলোতে আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে কয়েক সপ্তাহ পুর্বে। এখন আমন কাটা শেষে বিনা হালে রসুন রোপনের ধুম পড়েছে চলনবিল এলাকার উপজেলাগুলোতে।
চলনবিল এলাকার সর্বোচ্চ অর্থকরী ফসল বিনা হালে রসুনের বাম্পার ফলনের কারণে প্রতি মৌসুমে এলাকার কৃষকদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিনা হালে রসুন চাষ৷
সরেজমিনে চলনবিলের বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, চলনবিলের পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকের মাঝে চলছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। চলনবিলে এখন চলছে রসুন রোপণের ভরা মৌসুম। বিলের যেদিকে চোখ মেলা যাবে সেদিকেই দেখা যাবে নারী-পুরুষের পাশাপাশি ছোট ছোট ছেলেরা-মেয়েরাও জমিতে লাইন ধরে বসে বসে রসুনের কোয়া রোপণ করছেন।
গুরুদাসপুর উপজেলার হাসমারী গ্রামের মোঃ আব্দুর রহমান সর্দার জানান, প্রতি বিঘা রসুন আবাদ করতে প্রায় ২২-২৫ হাজার টাকা খরচ হয়। বাজার ভাল থা়কলে বিঘাপ্রতি জমি থেকে প্রাপ্ত রসুন বিক্রি হয় প্রায় ৪০-৫০ হাজার টাকায়।
প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও নাটোরের গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম,সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, উল্লাপাড়া, পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া এলাকায় চলছে রসুনের কোয়া রোপন৷ গুরুদাসপুর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর চলতি মৌসুমে শুধু গুরুদাসপুর উপজেলাতেই ৩ হাজার হেক্টর জমিতে রসুন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে৷