বগুড়ার ধুনটে নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ

240

এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টার:
বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের নাটাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ উঠেছে।
এব্যাপারে বুধবার ওই ওয়ার্ডের তালা মার্কার মেম্বার প্রার্থী ইউনুস আলী আকন্দ বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মেম্বার প্রার্থী ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, আমি ৮নং ওয়ার্ডে তালা মার্কা নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নাটাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন মথুরাপুর জিএমসি ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক জিয়াউর রহমান ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ছিলেন সোনারগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের সকারী শিক্ষক গোলাম মোস্তফা।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রিজাইডিং অফিসাররা নির্বাচনে সঠিকভাবে ভোট গণনা না করে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাকে ৮০৬ ভোট দেখিয়ে এবং প্রতিদ্বন্দ্বি টেউবয়েল মার্কার প্রার্থীকে ৮০৮ ভোট দেখিয়ে বিজয়ী ঘোষণা করেন। কিন্তু আমি বার বার অনুরোধ করার পরও তারা পুনগণনা না করেই চলে যান।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার পরও অর্থের বিনিময়ে তারা আমাকে ২ ভোটে পরাজিত করেছে। তাই এবিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করছি।
তবে এব্যাপারে প্রিজাইডিং অফিসার মথুরাপুর জিএমসি ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক জিয়াউর রহমান বলেন, ভোট গণনার সময় ম্যাজিস্ট্রট সহ ফোর্সরাও উপস্থিত ছিল। এছাড়া ভোট পুনগণনা করতে আরো সময় লাগার কারনে তা সম্ভব হয়নি। তবে অর্থের বিনিময়ে অন্য প্রার্থীকে বিজয়ী করার অভিযোটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এবিষয়ে ধুনট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোকাদ্দেস আলী জানান, ওই ব্যক্তি ট্রাইবুনালের মামলা দায়েরের পর অনুমতি পেলে দুই প্রার্থী ও ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ভোট পুনগণনা হতে পারে। এছাড়া আর কিছু করার নেই।