বগুড়ায় আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ১০

267

অনলাইন ডেক্স

বগুড়ার নন্দীগ্রামে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার সময় স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। ভাঙচুর করা হয়েছে ৩০টির বেশি মোটরসাইকেল। এঘটনায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ উভয় দলই স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে দায়ী করে বিজয় দিবসে উপজেলা প্রশাসনের কর্মসূচি বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জানাগেছে, সকাল ৭টার দিকে নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মীরা উপজেলা পরিষদ চত্বরে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান। একই সময়ে বগুড়া-৪ আসনের বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে যান। শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা দলীয় স্লোগান দিলে সেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিএনপির নেতাকর্মীরা তড়িঘড়ি করে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষ করে বাসস্ট্যান্ডে ফিরে আসেন। বিএনপি নেতাকর্মীরা একটি হোটেলে বসে নাস্তা করছিলেন। এসময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাসস্ট্যান্ড চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পমাল্য অর্পণ করতে আসেন এবং দলীয় স্লোগান দিতে থাকে। এসময় হোটেলে থাকা বিএনপির নেতাকর্মীরাও দলীয় স্লোগান দিতে শুরু করলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায় তা সংর্ঘষে রূপ নিলে এক পক্ষ আরেক পক্ষের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এসময় কমপক্ষে ৩০টির বেশি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন বলেন, নন্দীগ্রাম থানার ওসির প্রত্যক্ষ মদদে আওয়ামী লীগ কোন প্রকার উসকানি ছাড়াই বিএনপির ওপর হামলা করে। তিনি বলেন, আমি এমপি হিসেবে পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়েও পাইনি। একারণে উপজেলা প্রশাসনের বিজয় দিবসের কর্মসূচি বর্জন করেছি।

হামলায় উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জহুরুল ইসলামসহ ৭ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে একজনকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।

অপরদিকে নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, বিএনপির লোকজন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিয়ে হোটেল থেকে আওয়ামী লীগ অফিসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় পুলিশের কোনও সহযোগিতা না পেয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা প্রতিহত করতে গিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ৩-৪ জন নেতাকর্মী আহত হন। তিনি বলেন, বিএনপি বহিরাগত লোকজন এনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বিজয় দিবসের পরিবেশ নষ্ট করেছে। একারণে আমরা উপজেলা প্রশাসনের বিজয় দিবসের কর্মসূচি বর্জনের ঘোষণা দিয়েছি।

নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার পর বাসস্ট্যান্ড চত্বরে বিএনপি- আওয়ামী লীগের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
সুত্র বার্তা ২৪.কম