বার বার দরপতন তারপরেও রসুনে ভাগ্যবদলের স্বপ্ন দেখছেন চলনবিলের কৃষকেরা

282

এ এইচ খোকন চলনবিল প্রতিনিধিঃ বার বার দরপতন। তারপরও বিনাহালে রসুন আবাদে ঝুঁকছেন চলনবিলের কৃষকরা। গত বছরের তুলনায় চলতি মওসুমে রসুনে উৎপাদন খরচ বেড়েছে কয়েকগুন। রসুনের মূল্য বঞ্চিত হলেও এই অঞ্চলের কৃষকেরাই রসুনে ভাগ্যবদলের স্বপ্ন দেখছেন।
চলনবিলের পানি কার্তিকের শেষে কমতে শুরু করে। পানি কমার সাথে সাথেই এই অঞ্চলের কাঁদা মাটিতে শুরু হয় রসুনের কোয়া রোপন৷ চলতি বছরেও চলনবিল এলাকায় শুরু হয়েছে বিনা হালে রসুন চাষ৷ বিলের পলিমাটি শুকিয়ে ওঠার আগেই কৃষকেরা কোন রকম হালচাষ ছাড়াই রসুন রোপন শুরু করেছেন৷
চলনবিলের সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, উল্লাপাড়া, পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, নাটোরের গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষি জমিগুলোতে রসুন চলছে রসুনের পরিচর্যা৷
গুরুদাসপুর উপজেলার হাসমারী গ্রামের মোঃ আব্দুর রহমান সর্দার জানান, প্রতি বিঘা রসুন আবাদ করতে প্রায় ২২-২৫ হাজার টাকা খরচ হয়।গত কয়েক বছর রসুনের দাম না থাকায় বিপাকে পরেছেন এই এলাকার কৃষকেরা৷
নাটোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর চলতি মৌসুমে চলনবিল এলাকাতে প্রায় ৩৩ হাজার হেক্টর জমিতে রসুন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে৷