ধুনটে ৪ মাসের অন্তসত্তা এক সন্তানের জননীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা

333

এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়ার ধুনটে এক সন্তানের জননী ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্বামীর মারপিট অতিষ্ঠ হয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

নিহত গৃহবধুর নাম পিয়া খাতুন (২২)।
নিহতের স্বামী ভান্ডার বাড়ি ইউনিয়নের শিমুলবাড়ী গ্রামের ১নং যমুনা নদীর বাঁধ এলাকার মোঃ তাহেরের ছেলে কাঠমিস্ত্রি সজীব মিয়া (২৫)।

ধুনট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, ওই দম্পতি ধুনট উপজেলার ভান্ডার বাড়ি ইউনিয়নের শিমুলবাড়ী ১নং যমুনা নদীর বাঁধ সংলগ্ন টিন সেটের একটি বাড়িতে থাকতেন। ধুনট থানা পুলিশ আত্মহত্যার খবর পেয়ে শনিবার (২২ই জানুয়ারি) দুপুরে দিকে স্বামী সজীবের বাড়ি থেকে ৪ মাসের অন্তর সত্তা এক সন্তানের জননী পিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার বেলা অনুমান ১১ টার সময় তিনি ঘরের তীরের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, একই উপজেলার গোসাইবাড়ি ইউনিয়নের জোরখালী গ্রামের মোঃ হোসেন আলী মেয়ে পিয়া খাতুন বিগত ৫ বছর আগে ভান্ডারা ইউনিয়নের শিমুলবাড়ী গ্রামের মোঃ তাহেরের ছেলে কাঠমিস্ত্রি মোঃ সজীব মিয়ার সঙ্গে বিবাহ হয়। বিবাহর পর পিয়ার দাম্পত্য জীবনে জন্ম নেয় শাকিল নামে (৩) বছরের একটি ছেলে সন্তান।

কাঠমিস্ত্রি সজীব মিয়া মাদকসেবনে অসুস্থ ছিল, কাছে মাদকের টাকা না থাকায় ২১ জানুয়ারি বিকালে তার বাড়ি থাকা একটি গ্যাসের চুলা ঘর থেকে বের করে মাদকের টাকা সংগ্রহের জন্য বিক্রির উদ্দেশ্যে বের হলে তার স্ত্রী পিয়া তখন বাধা দিলে সজীব মিয়া পিয়াকে মারপিট করে আহত করেন। এরই কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন স্থানীয় লোকজন।

তবে আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ জানতে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।