শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় তিন চাকার অটোরিকশা-ভ্যান চলেনা চাঁদা ছাড়া রাস্তায় নামতে পারেনা। শেরপুর উপজেলা রিকশা -ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন, শেরপুর উপজেলা ও শহর ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক অটো রিক্সা মালিক সমিতির নামে প্রকাশ্যে ব্যাপক চাঁদাবাজি চলছে। এছাড়াও রয়েছে শেরপুর পৌর ব্যটারী চালিত ইজিবাইক ভ্যান ও অটোরিকশা সমিতি। এদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে নিরসন চেয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছে ভুক্তভোগী কিছু চালক।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এদের দেয়া রশিদে ৫ থেকে ১০ টাকা চাঁদা লেখা থাকে। তারা রশিদ দেওয়ার সময় গাড়ির নাম্বার, ড্রাইাভারের নাম সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর বা কোন অফিসিয়াল সিলমোহর কিছুই ব্যবহার করে না। শুধুমাত্র যার মাধ্যমে ওই চাঁদা আদায় করা হয় সে দিনের তারিখ লিখে দেয়। চাঁদা না দিতে চাইলে আদায়কারীরা ড্রাইভারদের খারাপ ব্যবহার করে, চাবি কেড়ে নিয়ে চাঁদা আদায় করে এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে। প্রতিনিয়ত এই সমস্যায় সাধারণ অসহায় ড্রাইাভারদের ভোগ করতে হয়। এ চাঁদাবাজির জন্যে বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে ভ্যান-অটো চালকরা।
এ ব্যাপারে ক’জন অটো চালক কাজল, হালিম, শহিদুল, জামাল, মজনু জানান রনবীর বালা ঘাটপাড় থেকে শেরপুর বাস স্ট্যান্ড আসার পথে কমপক্ষে ৩ জায়গায় দশ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। এভাবে গড়ে শেরপুরে ১ থেকে ১ হাজার ৫০০ মত ইজি বাইক, অটোভ্যান চলাচল করে’। ভুক্তভোগীরা জানান টাকা চাঁদা দিয়ে এবং মালিকদের দৈনন্দিন ভাড়া দিয়ে আমাদের আর হাতে তেমন একটা কিছু থাকে না। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে আমরা খুবই অসহায়ভাবে দিনাতিপাত করছি। এই চাঁদার টাকা কোথায় জমা হয় তা অজানা। তা কোন শ্রমিকের কাজে লাগে না। দু’বছর ধরে এই চাঁদা আদায়ের টাকা আদায় হয় ঠিকই তা সম্পূর্ণ আদায়কারী ও এর পেছনের নাটেরগুরুদের পেটে হজম হয়ে যায়। এই টাকা কোন শ্রমিকের দুর্ঘটনা বা অসুখবিসুখে কাজে লাগছে না। রোড এক্সিডেন্ট হয়ে অনেক ড্রাইভারের পরিবার না খেয়ে মরছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ জমা হয়েছে কিনা দেখতে হবে। অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেব।