দুপচাঁচিয়ায় সদরে প্রতিবন্ধী তাসলিমার জীবন কাহিনী,নেই বাসস্থান দরকার একটি ঘর

132

দুপচাঁচিয়া(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া সদরের চৌধুরীপাড়ার তয়েজ উদ্দিনের ছোট মেয়ে তাসলিমা খাতুন। জন্মগত ভাবে প্রতিবন্ধী না হলেও জন্মের একবছর পর পোলিও আক্রান্ত হন তাসলিমা। অভাব অনটনের সংসারে ৬ভাই বোনের মধ্যে তাসলিমা পঞ্চম। প্রতিবন্ধী জীবন যাপন কঠিন হওয়ায় ৮ম শ্রেনীর পর আর পড়ালেখায় এগোতে পারেননি তিনি। সাত বছরের ঘর সংসারের এক ছেলে সন্তান রেখে স্বামী নিরুদ্দেশ। স্কুল পড়–য়া ছেলে তোহাকে নিয়ে তাসলিমা বাবার সংসারে দিগুন বোঝা। ১৪মাস আগে তৎকালীন দুপচাঁচিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস,এম জাকির হোসেনের কাছে আবেদন করে উপজেলা অফিসের গেটে ছোট্ট একটি দোকান ঘরের স্থাপনের অনুমতি পেয়েছিলো সে। তবে স্যারের অনুমতি তো পেয়েইছেন, সাথে স্যার খুশি হয়ে বিল বিহীন বিদ্যুৎ, লাইট ও একটি ছোট ফ্যানের ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন। শুরুহলো তাসলিমার নতুন করে সংগ্রাম করে বাঁচবার। এনজিও কর্মী দুলাভাই মোতাহারুল ইসলামের সার্বিক সহযোগিতায় দোকান ঘর ক্রয় এবং মালামাল সামগ্রী নিয়ে শুরু করে তোহা মুদিষ্টোর। প্রতিদিন যা বিক্রি হয় সেখান থেকে যে আয় হয় তা দিয়েই চলছে তাছলিমার ছেলের পড়ালেখার খরচ এবং বাবার পরিবারে আর্থিক সহযোগিতা। কিছু টাকা জমিয়ে চলাফেরার জন্য হুইল চেয়ার রেখে, চার্জ ব্যবহৃত স্কুটি বা চার্জার মোটরসাইকেলও নিয়েছেন তিনি। ছেলেকে স্কুলে আনা নেওয়া, দোকানের মালামাল এবং বাজার সহ সব কাজ, সময়ের সাথে সম্পূর্ন করছেন তিনি।
তাসলিমা বলেন, তিনি সমাজের বোঝা হয়ে নয়, স্বাভাবিক মানুষের মতোই বাঁচতে চায়। খাদ্য, পোশাকের জন্য কোথাও যেতে না হলেও সে চিন্তিত তার একটি ছোট বাড়ি দরকার। একমাত্র ছেলেকে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে তৈরী করা ও ছেলের মাথা গোজার ঠাইয়ের জন্য প্রতিনিয়ত স্বপ্ন দেখছেন তিনি । বসবাসের জন্য উপযুক্ত একটি ঘর দরকার, তাই বর্তমান দুপচাঁচিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাঃ আবু তাহির স্যারের নিকট আবেদন করেছি, স্যারও আমাকে একটি ঘরের ব্যাপারে আসস্তত করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাঃ আবু তাহির বলেন, তাসলিমার জীবন সংগ্রামে উন্নয়নের অংশ আমরাও হতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর সদরের নিকটবর্তীতে তাসলিমার জন্য একটি ঘরের ব্যবস্থা করবো ।