সোনাতলায় দিনে-দুপুরে সরকারী রাস্তার গাছ কর্তন অতঃপর প্রশাসন কর্তৃক জব্দ

306

নুরে আলম সিদ্দিকী সবুজ স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়া সোনাতলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাপিতবাড়ি ভায়া আড়িয়াঘাট রাস্তায় চকনন্দন গ্রামে দিনে দুপুরে সরকরী রাস্তার তিনটি বড় ইউক্লিপটাস গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে।সংবাদ পেয়ে সোনাতলা থানা এসআই শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে কর্তনকৃত গাছের গুড়িগুলো ভ্যানে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় হাতে-নাতে ধরে ফেলে এবং ভ্যান চালক মাহবুর রহমান(মহুবর) সহ কয়েকটি গাছের গুড়ি থানায় নিয়ে যায়।

সরেজমিনে জানা যায়, ৭ ফ্রেব্রুয়ারী সোমবার সকালে উপজেলার চকন্দন গ্রামের মৃত মহসিন আলী মাষ্টারের ছেলে অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য ফরহাদ হোসেন এর জমির পাশে রাস্তার তিনটি গাছ একই এলাকার ভ্যান চালক মহুবরের নিকট বিক্রি করে। মহুবর গাছগুলো কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে কেটে ফেলে। এ বিষয়ে মহুবরকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়,ফরহাদের নিকট থেকে গাছগুলো ক্রয় করে তিনি আবার কাঠ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান মিষ্টারের নিকট বিক্রি করেছেন। এ ব্যাপারে ফরহাদ হোসেন জানান,সে ওই গাছগুলো বিক্রি করতে চাননি। মহুবর তাকে বলেছে গাছ বিক্রি করলে কোন সমস্যা হবে না। সমস্যা হলে তিনিই নাকি সব কিছু দেখবেন। ফরহাদ আরও জানান,তিনি গাছের কোন টাকা হাতে বুঝে পাননি। এ ব্যাপারে এসআই শহিদুল ইসলাম জানান,সরকারী রাস্তার গাছ কর্তনের খবর পেয়ে বিষয়টি ওসি স্যারকে অবগত করি এবং ঘটনাস্থলে গিয়ে কর্তনকৃত গাছের কয়েকটি গুড়ি থানায় জব্দ করে রাখা হয়েছে। বিষয়টি থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) রেজাউল করিম রেজা সংশ্লিষ্ দপ্তরে জানানোর পর উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোছাঃ পপি খাতুন উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের সিও সাজেদুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। রাস্তা মাফযোগ করে গাছগুলো রাস্তার সীমানার মধ্যে হওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্তনকৃত গাছগুলো জব্দ করেন এবং বন বিভাগের কর্মচারী বাগান মালিকে কর্তনকৃত গাছগুলো নাম্বারিং করে তার হেফাজতে উপজেলা চত্তরে রাখার নির্দেশ দেন। এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোছাঃ পপি খাতুন জানান,সঠিক তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।