কাহালুর সেই দুই বছরের শিশু কন্যা সাবা মনির মরাদেহ ১২ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন

102

কাহালু (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার সকালে বগুড়ার কাহালু সদর ইউনিয়নের দামাই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের দুই বছরের শিশু কন্যা সাবা মনির মরাদেহ ১২ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
উক্ত লাশ কবর থেকে উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট ও কাহালু উপজেলা নির্বাহি অফিসার (দায়িত্বপ্রাপ্ত) সবুজ কুমার বসাক, কাহালু থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আমবার হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন অর রশিদ সহ পুলিশের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
উল্লেখ্য যে, গত ১৯ ফেব্রæয়ারী বিকেলে কাহালু সদর ইউনিয়নের দামাই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের শিশু কন্যা জেরিন (৯) তার ২ বছরের ছোট বোন সাবা মনিকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিবেশী হাফিজার রহমানের বড়ই গাছে বড়ই কুড়াতে যায়। সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলে দুই বোন বাড়ীতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এক সময় বড়ই গাছের নিচে সাবা মনিকে মৃত ও জেরিনকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদেরকে উদ্ধারের পর রেজওয়ান ও তার পরিবারের লোকজন সাবা মনির মৃত্যুর জন্য ভূতের আক্রমণকে দায়ী করে এলাকায় প্রচার করে রাতেই তড়িঘড়ি করে লাশ দাফন সম্পন্ন করেন। সংজ্ঞাহীন জেরিনকে বগুড়া ডক্টর ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। গত ২৩ ফেব্রæয়ারি ডক্টর ক্লিনিকে জেরিন কিছুটা সুস্থ হয়ে জানায় তাদের চাচা রেজওয়ান সাবা মনির মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এ সময় জেরিন চিৎকার করলে তার মাথায়ও লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। জেরিন সুস্থ হওয়ার পর থেকে তার চাচা রেজওয়ান আতœগোপন করেন। এই ঘটনায় ২৩ ফেব্রæয়ারি রাতেই জেরিনের পিতা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে কাহালু থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর কাহালু থানা পুলিশ রেজওয়ানকে রাতেই গ্রেফতার করেন। পরেদিন রেজওয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড সহ সাবা মনির মরাদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্ত করার জন্য আদালতে আবেদন করেন।