শোক’কে শক্তিতে রুপান্তরিত করে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে: মজনু

152

স্টাফ রিপোর্টার রাশেদ
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫ টায় বগুড়া জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ বগুড়া জেলা শাখা আয়োজিত ১৫ আগস্ট, ১৭ আগস্ট, ২১ আগস্টের হামলা মূলত একই সূত্রে গাঁথা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা শাখার সভাপতি ভিপি সাজেদুর রহমান সাহীনের সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুলফিকার রহমান শান্ত,র সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব মজিবর রহমান মজনু। তিনি তার বক্তব্য বলেন,১৯৭৫ সালে ১৫ আগষ্ট দিবাগতরাত্রীতে চারিদিকে যখন ফজরের নামাজের আযান হচ্ছিল ঠিক সেই মহুর্তে ঘাতকদের বুলেটের নির্মম আঘাতে স্বাধীন বাংলার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তার পরিবারের সবাইকে হত্যা করে। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা বিদেশে থাকায় তারা প্রানে রক্ষা পায়। ১৯৭৫ সালে ২৬ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধুর খুনিদের হাত ধরে ক্ষমতায় বসেন খন্দকার মোসতাক।বাংলাদেশের সংবিধানে হত্যাকান্ডের বিচার প্রাপ্তির মৌলিক অধিকার খর্ব করে আইনে পরিনত করেন জিয়াউর রহমান। ১৯৭৯ সালে ৯ জুলাই সংসদে পাস হয় মানবতা বিরোধী ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ আইন বিচার হীনতার সংস্কৃতি।শাস্তির পরিবর্তে পুরুস্কৃত করা হয় বঙ্গবন্ধুর খুনিদের। বিভিন্ন দৃর্তাবাসে দেওয়া তাদের চাকুরী।১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন বঙ্গবন্ধুর খুনিরা। ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ আইনটি বাতিল করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন শেখ হাসিনার সরকার আর এ ভাবে খুলে যায় বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের পথ।আর এরি ধারাবাহিকতায় বাঙ্গালী জাতি হয় কলঙ্ক মুক্ত। ২০০৪ সালে ২১ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেট হামলা করা হয় এই হামলায় তিনি প্রানে বেঁচে গেলেও আইভি রহমান সহ ২৪ জন নেতাকর্মীকে তারা হত্যা করে। এই গ্রেনেট গামলায় আজও অনেক নেতাকর্মী পুঙ্গত্ব বরন করে মূত্যুর সঙ্গে পান্জা লড়ছে।২০০৫ সালে ১৭ আগষ্ট একযোগে ৬৩ জেলায় ৫০০ অধিক স্থানে সিরিজ বোমা হামলে করে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চেয়েছিল মৌলবাদী, জঙ্গীবাদ, অগ্নি সন্ত্রাসীর দল। তারা এ দেশকে বোমা রাষ্টে পরিনত করতে চেয়েছিল। পরবর্তীতে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সবার হত্যাকান্ডের বিচার কার্য সম্পূর্ন করে। তিনি আরো বলেন স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ঐ মৌলবাদ,জঙ্গীবাদ,অগ্নি সন্ত্রাসীর আবারো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারা এ দেশকে অকার্যকর রাষ্টে রুপান্তরিত করতে চাই। তাই আমি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সকল নেতাকর্মীকে বলতে চাই শোক’কে শক্তিতে রুপান্তরিত করে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় প্রস্তত থাকতে হবে।প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু,বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলম ঝুনু,প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনি,দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-রাজি জুয়েল, বগুড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফি নেওয়াজ খান রবিন,বগুড়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান শফিক, বগুড়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওবাইদুল হাসান ববি, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য মেহেদী হাসান রবিন। আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা শাখার সহ-সভাপতি এ কে এম এনামুল বারী টুটুল, প্রভাষক মনিরুজ্জামান মনির, গোলাম হোসেন, কয়েল ইসলাম, এস এম শাহীন আলম, আবু বক্কর সিদ্দিক স্বাধীন, হাজ্বী আলাল,নাইমুর রাজ্জাক তিতাস, নাজমুল কাদির শিপন, নুরুল আমিন শিশির, বনি ছদর খুররম, রেজাউল করিম রিয়াদ, নুরুন্নবী সরকার,আরিফুল হক বাপ্পী, সুলতান মন্ডল সজল, মশিউর রহমান মামুন, আমিনুল ইসলাম আকাশ, খালেকুন্নাহার পলি, আয়নাল হক নয়ন, হজরত আলী,আব্দুস সালাম,এনামুল হক,মামুনুর রশিদ মামুন,নাসিমুল বারী নাসিম, লিটন শেখ,রাকিবুল ইসলাম রাজু, ওমর ফারুক ঝিনুক, প্রভাষক রাজু,মাসুদ রানা,রশ্মি স্বর্না,আব্দুল হাকিম,ফেরদৌস জামান মুকুল, সেহানুল ইসলাম,রয়েল ইসলাম সহ জেলা,পৌর ও উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।