স্বামী খুনের বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে বগুড়া প্রেসক্লাবে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

105

নিজস্ব প্রতিবেদক

শনিবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে স্বামী খুনের বিচার ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে জেলার শাপলা বেগম (৩৫) সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শাপলা বেগম বগুড়ার গাবতলী উপজেলার জাগুলী উত্তরপাড়ার মৃত সামিউল ইসলাম জাকিরের স্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে শাপলা বেগম লিখিত বক্তব্যে বলেন, নিহত জাকির হোসেন পেশায় একজন রং মিস্ত্রি ও নিরাপদ সড়ক চাই বগুড়া জেলা শাখার একজন সদস্য। ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি ইউপি নির্বাচনে স্থানীয় শাহিদুল ইসলামকে টিউবওয়েল প্রতীকে সমর্থন দিয়েছিলেন। সমর্থন দেয়ায় প্রতিপক্ষ ফেরদৌস হোসেন মিঠুর সাথে বিরোধ দেখা দেয় এবং হুমকি ধামকি দিয়েছিল। ভোট দিয়ে দুপুর ২টার দিকে জাকির নিবাচন শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় স্থানীয় জাগুলী খান কবরস্থান এলাকায় পূর্বপরিকল্পিত ভাবে তাকে দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকান্ডে চিহ্নিত ১১জনসহ অজ্ঞাত আরও ৫/৬জন অংশ নেয়। পরে গাবতলী থানায় তাদের নামে মামলা করা হয়। মামলায় উল্লেখিত আসামীরা হলো, গাবতলী উপজেলার জাগুলী গ্রামের মোঃ ফেরদৌস হোসেন মিঠু (৪০), মোঃ সিহাব প্রাং (২৩), মোঃ মিম খান (২০), মোঃ লিটন প্রাং (২০), মোঃ সাদ্দাম হোসেন (২৬), মোঃ শাকিল হোসেন (২০), মোঃ তরিকুল ইসলাম তরি (৪০), মোঃ মুকুল মিয়া (৪৩), মোঃ ইউনুছ আলী সাকিদার (৩০), মোঃ এরশাদ আলী (২৩) এবং মোঃ স্বপন (২৫)। হত্যাকান্ডের সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা (মামলার সাক্ষী) জাকির হোসেন বাচানোর জন্য চিৎকার শুরু করলে আসামীরা পালিয়ে যায়। পরে ৭ জানুয়ারি গাবতলী থানায় উপরে উল্লেখিত ১১ জনসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনের নামে মামলা করেন।
তিনি আরও বলেন, থানায় মামলা হওয়ার পর পুলিশ প্রধান আসামী ফেরদৌস হোসেন মিঠুকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে আসামী মিঠু জামিনে এসে মামলা তুলে নেয়ার জন্য প্রাণনাশসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছেন। বর্তমানে শাপলা বেগম তার তিন সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই স্বামী জাকির হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও পরিবারের নিরাপত্তার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত জাকির হোসেনের মা রাবেয়া খাতুন, বোন সাবিনা খাতুন, মামলার সাক্ষী আবু তাহের, সোহেল রানা, বন্ধু অনন্ত সেলিম উপস্থিত ছিলেন।