বগুড়ায় হত্যার দায়ে বিএনপি নেতা ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

92

ডেস্ক রিপোর্ট

বগুড়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি সমর্থক হওয়ায় শাহজাহান আলী নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার দেড় যুগ পর সদরের শেখেরকোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম মৃধাসহ ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার বেলা ১২টার দিকে বগুড়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবা মন্ডল এই রায় ঘোষণা করেন। আদেশ প্রদানকালে আদালতে মামলার প্রধান আসামী রশিদুল ইসলামসহ ৮ জন উপস্থিত ছিলেন। আদালতে উপস্থিত দন্ডিত আসামীরা হলেন বগুড়া সদরের শেখেরকোলা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রশিদুল ইসলাম মৃধা, সবুজ আকন্দ, উজ্জ্বল আকন্দ, আব্দুল মান্নান, পিলু খন্দকার, মোখলেছার রহমান মুকুল, আব্দুল হামিদ খোকা আকন্দ এবং জাহেদুর রহমান। এ ছাড়াও যাবজ্জীবন পাওয়া তিন আসামী পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন বিপ্লব মিয়া, রাসেল মিয়া, জুয়েল প্রামানিক। আসামীরা সবাই সদরের শেখেরকোলার দক্ষিণভাগ এলাকার বাসিন্দা। রায়ে বলা হয়েছে, শাহজাহান আলীকে হত্যার দায়ে ১১ জনকে যাবজ্জীবন ও ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেয়া হলো। আর পলাতক ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দিন থেকে সাজার মেয়াদ গননা করা হবে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি নাছিমুল করিম হলি। মামলার নথিসূত্রে তিনি জানান, ২০০৩ সালের ৯ ফেব্রæয়ারি শেখেরকোলা ইউপিতে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোটে আব্দুস সাত্তার খা এবং রশিদুল ইসলাম মৃধা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ওই নির্বাচনে আব্দুস সাত্তারের সমর্থক হিসেবে কাজ করেন শাহজাহান আলী। নির্বাচনে জয়লাভ করার পর ১১ই ফেব্রুয়ারি দলীয় লোকজন নিয়ে রশিদুল ইসলাম স্থানীয়দের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ওই দিন সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার সময় পথে দক্ষিণভাগ গ্রামে রশিদুলের মুখোমুখি হন শাহজাহান আলী। এ সময় নির্বাচনে তাকে ভোট না দেয়ার অভিযোগ তুলে গাল-মন্দ করে শাহজাহানের ওপর হামলা করে রশিদুলের লোকজন। নাছিমুল করিম আরও জানান, হামলায় রড দিয়ে শাহজাহানের মাথায় ও হাতে আঘাত করা হয়। এতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে মারা যান শাহজাহান আলী। পরে ওই দিন ১১ জনকে আসামী করে নিহতের ভাই মাহমুদুর রহমান সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় ১৯ বছর বিচার চলার পর সোমবার রায় হলো।
এই আইনজীবী বলেন, মামলায় আসামীরা জামিনে ছিলেন। তারা নিয়মিত হাজিরা দিতেন যার ধারাবাহিকতায় সোমবার দন্ডিতদের মাঝে ৮ জন হাজিরা দেন আদালতে। আর তিন জন পলাতক রয়েছেন। দন্ডিত আসামীদের কারাগারে নিয়েছে পুলিশ।