নাটোরের সিংড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি সদস্য কে গলা কেটে হত্যা

104

ডেস্ক রিপোর্ট
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মহাসড়কের পাশ থেকে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার হাটিকুমরুল-পাবনা নগরবাড়ী মহাসড়কের পাটধারী এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত ব্যক্তির নাম ফরিদুল ইসলাম (৫৫)। তিনি নাটোরের সিংড়া উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও সুকাশ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। পুলিশ জানায়, ফরিদুল ইসলাম নাটোরে একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। এ কারণে তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে উপজেলার পাটধারী এলাকায় স্থানীয় লোকজন মহাসড়কের পাশে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, রাতের কোনো একসময় দুর্বৃত্তরা ফরিদুলকে হত্যা করে সড়কের পাশে লাশ ফেলে রেখে গেছে।

উল্লাপাড়া উপজলোর সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। দুপুরের মধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। লাশের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন আছে।

ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, ফরিদুল একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। এ কারণে তিনি পলাতক ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জেরে ফরিদুলকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ, পিবিআই ও সিআইডি ঘটনাস্থল থেকে আলামত সগ্রহ করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্ততি চলছে।

সিংড়া থানা সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত ৯ অক্টোবর নাটোরের সিংড়ার সুকাশ ইউনিয়নের বামিহাল বাজারে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় সুকাশ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সুকাশ ইউপির সাবেক সদস্য আফতাব হোসেন (৫০) ও ফরিদুল ইসলামের সমর্থক রুহুল আমিন (৪৫) নিহত হন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে ৬২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৫ জনকে আসামি করে দুটি মামলা হয়। আফতাব হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ফরিদুল ইসলাম। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।