শাজাহানপুরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় পাল্টা অভিযোগ

92

নিজস্ব প্রতিবেদক : শাজাহানপুর উপজেলার দুবলাগাড়ি বাজারে মাম্মি ভ্যারাইটি স্টোর নামক একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর এবং প্রতিষ্ঠানের মালিক মারুফ উল আলম পাভেল(৪০)’কে মেরে ৫লক্ষ টাকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ হয়েছে। শুক্রবার(২৮অক্টোবর) সন্ধ্যা সারে ৬টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগে নামীয় বিবাদীরা হলেন চুপিনগর ইউনিয়নের চুপিনগর মধ্যপাড়া গ্রামের দিনমজুর সেকেন্দার আলী এর ছেলে মোঃ রাব্বী(২০), একই এলাকার দিন মজুর সুলতান মিয়া এর ছেলে মোঃ পারভেজ(২২), আকরাম হোসেন এর ছেলে আব্দুল(২৫) এবং লাল মিয়া(৫০)।

চুপিনগর মধ্যপাড়া ফোরকানিয়া মাদরাসার কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন মারুফ উল আলম। কমিটি গঠন এর জের ধরে তাঁর উপরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন থানা পুলিশ।

অপরদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার(২৯অক্টোবর) দুপুরে থানায় পাল্টা অভিযোগ দিয়েছেন লাল মিয়া। ওই দিন মারুফ উল আলম এর সাথে বাক বিতন্ডা হয়। এর জের ধরে মারুফ তাঁর(লাল মিয়ার) ভাতিজা আব্দুল আলিম ও নিরুপুজ্জামানকে মেরে আহত করেন।

সরেজমিনে শুক্রবার রাতে মারুফ উল আলম জানান, আমি দুবলাগাড়ি হাট বাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং চুপিনগর মধ্যপাড়া ফোরকানিয়া মাদরাসার কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে আছি। শুক্রবার সন্ধ্যা সারে ৬টার দিকে হঠাৎ করে রাব্বি, পারভেজ, আব্দুল, লাল মিয়া সহ অন্তত ১২জন আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসে। তাঁরা আমাকে বলে মাদরাসায় মিটিং হচ্ছে আমাকে যেতে হবে। আমি তাঁদের বলেছিলাম আমি তো কমিটির সাধারণ সম্পাদক। আমি জানিনা তাহলে কিসের মিটিং। তখন আমার সাথে তাঁদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাঁরা আমাকে মারপিট করে এবং আমার পোশাক টেনে ছিঁড়ে দেয়। তাঁরা আমার দোকানে বিক্রির জন্য রাখা সিমেন্টের ভেন্টিলেটর দিয়ে আমাকে আঘাত করে। চেয়ার ভাংচুর করে এবং আমার ক্যাশে থাকা ৫লক্ষ টাকা নিয়ে চলে যায়। আমি ব্যবসায়ী তাই তাঁদের সাথে সংঘর্ষে না গিয়ে থানায় গিয়ে আইনের আশ্রয় নেই।

লাল মিয়া জানান, আমি মাদরাসা দেখভাল করে আসছি। মাদরাসা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মারুফ উল আলম পাভেল সহ সভাপতি হারুণ অর রশিদ এর কাছে মাদরাসা উন্নয়নের টাকা গচ্ছিত আছে। বিভিন্ন সময় তাঁদের কাছে হিসাব চাইলে তাঁরা বাহানা করতেন। শুক্রবারে তাঁদের সাথে আমার কথা কাটাবাটি হয়। এসময় তাঁরা আমাকে সহ আমার ভাতিজা আব্দুল আলিম ও নিরুপুজ্জামানকে মেরে আহত করেন। এই ঘটনায় শনিবার দুপুরে আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি।

শাজাহানপুর থানার পরিদর্শক(সার্বিক) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে অফিসার পাঠানো হয়েছিল। উভয় পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।