শাজাহানপুরের মানিকদিপা উচ্চ বিদ্যালয়ে সন্ত্রাসীদের মহড়া

148

শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ প্রধান শিক্ষকের বরখাস্ত এবং তাকে স্বপদে বহাল রাখাকে কেন্দ্র করে আবারও উত্তাল বগুড়া শাজাহানপুরের মানিকদিপা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়।
বুধবার সকাল ১১টার দিকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষককে বাহাল রাখতে সাবেক সভাপতি ইনসান আলী ১৫/২০টি মটোর সাইকেল যোগে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে স্কুল চত্ত্বরে মহড়া দিতে থাকে। এসময় এক শিক্ষককে লাঞ্ছিত করলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এসময় সাবেক সভাপতি আব্দুল বাসেত রঞ্জু, মহসিন আলী উপস্থিত ছিলেন।
তাৎক্ষণিক পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এবিষয়ে পুলিশের এস আই আব্দুর রহমান জানান, বহিরাগতা স্কুলের পরিবেশ উত্তপ্ত করে তুলছে। বিষয়টি শিক্ষা বিভাগের। ওনারাই বিষয়টি দেখবেন। কিন্তু আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি এখন নিয়ন্ত্রনে আছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইনসান বাহিনীর হাতে লাঞ্ছিত হওয়া শিক্ষক বলেন, একাধিকবার ইনসান দলবল নিয়ে শিক্ষকদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। কারও কাছে অভিযোগ দিলে স্কুলে আর আসতে দিবেনা হুমকি দিচ্ছে।

নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে দুর্ব্যবহার সহ বিভিন্ন অভিযোগে গত ১৩অক্টোবর’২২ ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজকে সাময়িক বরখাস্ত করেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এস,এম বাকি বিলাহ। বহিস্কারের ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে প্রধান শিক্ষক জেলা শিক্ষা অফিস বগুড়ায় আবেদন দাখিল করেন।
প্রধান শিক্ষকের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহবুবুল হোসেন। তদন্ত প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, সভাপতি বাকি বিলাহ কর্তৃক স্বাক্ষরিত বহিস্কার পত্রটি বিধি বহির্ভুত না হওয়ায় প্রধান শিক্ষক পদে বহাল রয়েছেন আব্দুল আজিজ।

এই পত্রটি নিয়ে প্রধান শিক্ষককে বহাল রাখতে চাপ প্রয়োগ করেন।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাবেক সভাপতি ইনসান আলী জানান, একজন প্রবীন প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি শিক্ষা অফিসারের তদন্তে বিধি বহির্ভুত হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। শিক্ষকের মর্যাদা যেন ক্ষুন্ন না হয় এবং স্বপদে বহাল রাখার জন্য কর্তব্যরত শিক্ষকদের অনুরোধ করেছি মাত্র। এখানে উত্তেজনা বা বাকবিতন্ডার কোন ঘটনা ঘটেনি।
ওই বিদ‍্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এস.এম বাকী বিলাহ বলেন,প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে নানা দূনীতি,শিক্ষকদের সাথে খারাপ ব‍্যবহারসহ নানা অনিয়মের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ তাকে পরপর ৩বার কারন দশানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। কিন্ত তিনি জবাব না দেয়ায় বিধি মেনে তাকে বহিস্কার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহবুবুল হোসেন জানান, ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক সহ কয়েকজন আমাকে বিষয়টি অবহিত করেছেন। বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ঘটনায় বিদ‍্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ তথা নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন অভিভাবকদের মাঝে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।