জেএমবির সক্রিয় সদস্য ওয়ালিউল্লাহ গাবতলী থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার

119

প্রেস রিলিজ

গত ১০ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) পুলিশ সুপার, বগুড়া মহোদয় নিখুঁত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, পুরাতন জেএমবির কতিপয় সদস্য দেশের বিভিন্ন স্থান হতে একত্রিত হয়ে বগুড়া জেলার গাবতলী মডেল থানা এলাকায় এসে উত্তরবঙ্গে তাদের বর্তমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সংক্রান্তে বিস্তারিত আলোচনা পূর্বক সংগঠনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন পূর্বক হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করে বাংলাদেশেকে অস্থিতিশীল, অকার্যকর ও ব্যার্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার উদ্দেশ্যে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন করার লক্ষ্যে বগুড়া জেলার গাবতলী মডেল থানা এলাকায় কোন নির্জন স্থানে গোপন বৈঠক করবে।

উক্ত তথ্যের সত্যতা যাচাই পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ সুপার, বগুড়া মহোদয়ের সার্বিক দিকনির্দেশনায় সহকারী পুলিশ সুপার, গাবতলী সার্কেল জনাব নিয়াজ মেহেদী ও অফিসার ইনচার্জ, গাবতলী মডেল থানা জনাব সনাতন চন্দ্র সরকার এর নেতৃত্বে গাবতলী মডেল থানার একটি চৌকস টিম ১০/০১/২০২৩ খ্রি. তারিখ ২১.৩০ ঘটিকার সময় গাবতলী মডেল থানাধীন বড়গোলাবাড়ী বাজারসহ এর আশপাশ এলাকায় অবস্থান করে। অবস্থানকালীন সময়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গোলাবাড়ী বাজার সিএনজি স্ট্যান্ডে ১১/০১/২০২৩ খ্রি. তারিখ ভোর ০৪.৩০ ঘটিকার সময় গাবতলী থানাধীন গাবতলী সদর ইউনিয়নের অন্তর্গত চকসদু গ্রামস্থ গাইবান্ধা হোটেলের সামনে জনৈক মোঃ ওমর আলী(৩৬), পিতা-মৃত কাছেম প্রাং এর নব নির্মিত ভবনের ছাদের নীচে কতিপয় নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি সদস্যগণ মিটিং করার জন্য সমবেত হয়েছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে ১১/০১/২০২৩ খ্রি. তারিখ ভোর ০৫.৫০ ঘটিকার সময় বর্ণিত স্থানে উপস্থিত হলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে একজনকে ধৃত করে।

আটককৃত ব্যক্তির নামঃ

১। মোঃ ওয়ালি উল্লাহ ওরফে অলি (৪৭), পিতা-মৃত কলিমউদ্দিন @ কেরানী প্রাং, মাতা-মোছাঃ রাজিয়া খাতুন, সাং-কর্নিপাড়া,ইউনিয়ন-মহিষাবান, থানা- গাবতলী, জেলা-বগুড়া।

আটককৃত ব্যক্তির হেফাজত হতে উদ্ধারকৃত আলামতঃ

১। ২৩ (তেইশ) টি নিষিদ্ধ ঘোষিত জিহাদী বই, যাহার কভারের উপর একই দেশে একাধিক ইসলামী দলের ব্যাপারে হুকুমসহ অন্যান্য লেখা আছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ব্যক্তি জানায় যে, পলাতক আসামী ২। মোঃ আহসান হাবিব ওরফে জামাত আলী(৪৩), পিতা-মৃত আব্দুল হামিদ, সাং- রাণীর পাড়া থানা-গাবতলী জেলা-বগুড়াসহ অজ্ঞাতনাম ৬/৭ জন পালিয়ে যায়। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে যে, তাহার বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে সন্ত্রাস বিরোধী মামলা হওয়ার পর হতে দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পুরাতন জেএমবি‘র সদস্যদের সু-সংগঠিত করার লক্ষ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তারা বিভিন্ন এলাকা হতে এসে বর্ণিতস্থানে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে বৈঠক করার জন্য একত্রিত হয়েছিল। ধৃত আসামী ও অজ্ঞাতনামা কতিপয় আসামীগণ পরস্পর যোগসাজসে বাংলাদেশেকে অস্থিতিশীল ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিনত করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন সহ হত্যা, গুরুতর আঘাত, রাষ্ট্রের ক্ষতিসাধন করার উদ্দেশ্য সাধনকল্পে সমবেত হয়েছিল। ধৃত আসামী আরো জানায় যে, সে দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষে ধৃত আসামীর বর্তমান বসবাসরত ভাড়া বাসায় নিষিদ্ধ জিহাদী বই আছে। তার উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে ধৃত আসামী ও সংঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ বগুড়া জেলার গাবতলী থানাধীন মহিষাবান ইউপির অন্তর্গত মড়িয়া গ্রামস্থ গোলাবাড়ী মাছ বাজারের পূর্ব পার্শ্বে জনৈক মোঃ আঃ রহিম(৪০), পিতা-মোঃ আঃ রহমান এর আধা পাকা ভাড়া বসত বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে সাক্ষীদের সামনে আসামীর শয়ন কক্ষ তল্লাশী কালে ধৃত আসামীর দেখানো মতে উত্তর দূয়ারী বসত ঘরের পূর্ব পাশের শয়ন ঘরের স্টীলের ওয়ার ড্রোবের ভেতরে উপরে তাকে ১০ (দশ) টি এবং মাঝের তাকে ১৩ (তের) টি সর্ব মোট ২৩ (তেইশ)টি জিহাদী বই কাপড়ের ভাজের নিচে পৃথক পৃথক ভাবে রক্ষিত অবস্থায় ছিল।

পলাকত ও অজ্ঞাতনামা আসামীদের নাম-ঠিকানা যাচাই ও সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।

উক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে বগুড়া জেলার গাবতলী থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।